ফ্রান্সে সন্ত্রাসীরা রাসায়নিক বা জীবাণু হামলা করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভলস। প্যারিসে ভয়াবহ হামলায় ১২৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জারি করা জরুরি অবস্থার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ককালে তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপির।
বেলজিয়ামের পুলিশ প্যারিস হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী বিলাল হাদফি ও সালেহ আবদেসালামকে ধরতে ব্রাসেলস ও তার আশপাশের ছয়টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে।
পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ফ্রান্সে হামলা করেছে...ইরাক বা সিরিয়ায় যা করা হচ্ছে তার জন্য নয়, যা করা হয়েছে তার জন্য।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যেভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে, হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে, এটা নতুন। রাইফেল, শিরশ্ছেদ, আত্মঘাতী হামলা, ছুরিকাঘাত কিংবা সবগুলো একসঙ্গে করা হচ্ছে।
গত শুক্রবারের প্যারিস হামলায় সন্দেহভাজন মূল হোতা মরোক্কান বংশোদ্ভূত বেলজিয়ান নাগরিক আবদেলহামিদ আবাউদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। ফরাসি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএফপি আজ বলেছে, প্যারিসের উত্তর ভাগের স্যঁ দোনি শহরতলির একটি অ্যাপার্টমেন্টে সন্দেহভাজন বেলজিয়ান হামলাকারীরা লুকিয়ে আছেন—এমন খবরের ভিত্তিতে দেশটির পুলিশ গতকাল বুধবার সাত ঘণ্টা ধরে সেখানে অভিযান চালায়।
প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলি ফ্রাসোঁয়া মলিন্স এএফপিকে বলেন, ওই অভিযানে কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারী বিস্ফোরক দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরেকজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অভিযানে পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে গত শুক্রবারের হামলার সময় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ব্রাহিমের ভাই আবাউদ বা সালেহ আবদেসলাম নেই।
যদিও ব্রিটিশ প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ ও মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছে, স্যঁ দোনি শহরতলিতে পুলিশের অভিযানকালে আবদেলহামিদ আবাউদ নিহত হয়েছেন।