ফ্রান্সে মে দিবসের শোভাযাত্রা থেকে সহিংসতা, আটক ২০০

মিছিলকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: রয়টার্স
মিছিলকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সের প‌্যারিসে মে দিবসের শোভাযাত্রা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিসের বামপন্থী সংগঠন ‘ব্ল্যাক বকস’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর পাবলিক সেক্টরে শ্রমিকদের মর্যাদা পুনর্গঠনের বিরোধিতা করে মিছিল করে। ফরাসি পুলিশের বরাত দিয়ে সহিংসতায় একজন পুলিশসহ চারজন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বিবিসি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কালো জ্যাকেট, কাঁদানে গ্যাসনিরোধক মুখোশ ও মাথায় হুডি পরে সহিংসতাকারীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। ছবি: রয়টার্স

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সহিংসতাকারীরা একপর্যায়ে রাস্তায় থাকা গাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, টিয়ারসেল, স্প্রে ও জলকামান ব্যবহার করে। সহিংসতায় অংশ নেওয়াদের প্রায় সবাই কালো জ্যাকেট পরা ছিল বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তারা ‘প্যারিস জেগে ওঠো’, ‘পুলিশকে সবাই ঘৃণা করে’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।

শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা হঠাৎই রূপ নেয় সহিংসতায়। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রাটি হঠাৎই সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল। প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ কাঁদানে গ্যাসনিরোধক মুখোশ ও মাথায় হুডি পরে শোভাযাত্রাটিতে অংশ নেয়। হঠাৎই তারা সহিংস হয়ে ওঠে। সে সময় তারা বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুট করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

কালো জ্যাকেট, কাঁদানে গ্যাসনিরোধক মুখোশ ও মাথায় হুডি পরে সহিংসতাকারীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। ছবি: রয়টার্স

এদিকে তুরস্কেও মে দিবসের মিছিল সহিংসতায় রূপ নেয় বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইস্তাম্বুলে সহিংসতার ঘটনায় ৮৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বাড়ির পাশে প্রেসিডেন্টের কুশপুত্তলিকা পোড়ায় আন্দোলনকারীরা।