ফিনল্যান্ডের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাল সুইডেন। সোমবার এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন জানান, তাঁর দেশের ন্যাটোতে সদস্যপদ পাওয়ার আবেদন করবে। খবর বিবিসির।
ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার কথা জানাতে স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন সুইডেনের প্রধামন্ত্রী। তবে ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আবেদন করার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতার নীতি ভেঙে ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তে পক্ষে তাঁর দেশের জনগণ সমর্থন দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।
এ বিষয়ে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমরা এক যুগ থেকে আরেকটি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।’
ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সুইডেনের বিরোধী নেতা উলফ ক্রিস্টারসনের সমর্থন পাচ্ছেন ম্যাগডালেনা। স্টকহোমের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ক্রিস্টারসনও। সুইডেনে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতার একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া নজিরবিহীন ঘটনা।
এর আগে নিরপেক্ষতার নীতি বদলে ফেলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটোর অনেক সদস্যদেশ সবুজ সংকেত দিয়েছে। তবে ইউরোপের দেশ দুটির ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ককে রাজি করাতে দেশটি সফরে যাচ্ছেন সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর দেশটির সংবাদ সংস্থা টিটি জানায়, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান লিনডে ও ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভেস্তো শিগগির আঙ্কারা সফর করবেন। সেখানে তাঁরা সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানে তুরস্কের আপত্তি নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর আগে গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অতিথিশালা। এ পরিস্থিতিতে আমরা তাদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা সমর্থন করতে পারি না।
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনার পথ খোলা আছে জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলু বলেন, ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত তাঁর দেশ।