জার্মান সীমান্তের কাছে ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবুর্গ শহরের আততায়ী শারিফ সিকে (২৯) পুলিশ রাস্তায় গুলি করে হত্যা করছে। গত মঙ্গলবার স্ট্রাসবুর্গ শহরের কেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস মার্কেটে গুলি চালিয়ে চার ব্যক্তিকে হত্যার পর থকে ২৯ বছর বয়স্ক শারিফ সি আত্মগোপন করেছিলেন।
দুদিন ধরে ফ্রান্স ও জার্মানির ৮০০ পুলিশ ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ পুলিশ বাহিনী শারিফ সিকে খুঁজছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ এই আততায়ীর ছবি প্রকাশ করে তাঁকে ধরিয়ে দিতে জনসাধারণের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানায়।
স্ট্রাসবুর্গে ক্রিসমাস মার্কেটে হামলার পরপর এই আততায়ী একটি ট্যাক্সিতে করে স্ট্রাসবুর্গে শহরের নয়ডের্ফ এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। তবে পালিয়ে যাওয়ার আগে শারিফ সি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ্রিস্টোফ ক্যাস্টনার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার শহরের নয়ডের্ফ এলাকার রাস্তায় তিনজন পুলিশ এক সন্দেহজনক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর পরপরই পুলিশ তাঁকে হত্যা করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থকে হাতে ব্যান্ডজে জড়ানো একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল।
স্ট্রাসবুর্গে শহরের মেয়র জানিয়েছেন, দুদিন ধরে শহরটিতে আতঙ্কজনক অবস্থা বিরাজ করছিল, এখন সেই অবস্থার অবসান হয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে এই শহরের ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস মার্কেট খুলে দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবারের এই হামলার দায় নিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিবৃতি দিলেও শারিফ সি ইসলামিক স্টেটসের সদস্য কি না, তা পুলিশ জানাতে পারেনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ফ্রান্সে ইসলামিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় ২০০ মানুষ মারা গেছেন। ২০১৬ সালে বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে হামলার ঘটনায় ১২ ব্যক্তি প্রাণ হারান। গত মঙ্গলবার স্ট্রাসবুর্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেট হামলার পর থকে ইউরোপজুড়ে সব ক্রিসমাস মার্কেটে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে ইউরোপের বড় বড় শহরে মাসব্যাপী ক্রিসমাস মার্কেটের মেলা বসে।