চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক বাছাইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নাম উঠে এসেছে। সম্প্রতি শান্তিতে নোবেলজয়ী সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পোপ ফ্রান্সিস, ব্রিটিশ পরিবেশবিষয়ক টিভি সাংবাদিক ডেভিড অ্যাটেনবার্গ এবং বেলারুশের ভিন্নমতাবলম্বী নেতা সভেৎলানা সিনোস্কায়ার নাম রয়েছে। নরওয়েজিয়ান আইনপ্রণেতারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের একটি তালিকা তৈরি করে। খবর আল–জাজিরার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাবেক সাংসদ, সাবেক নোবেলজয়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা হাজারো ব্যক্তি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। চলতি বছর মনোনীতদের তালিকায় রয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলনরত গ্রেটা থুনবার্গ, মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী জোট মিয়ানমার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট, দ্বীপরাষ্ট্র টুভ্যালুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফের নাম রয়েছে প্রাথমিক তালিকায়।
দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম প্রকাশ করে, কিন্তু তারা এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। প্রায় ৫০ বছর ধরে পুরস্কার ঘোষণার আগে এই কমিটি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আসছে। কিন্তু মনোনোয়নের কাজে সহায়তা করা নরওয়েজিয়ান আইনপ্রণেতারা কিছু কিছু নাম প্রকাশ করে থাকেন। গতকাল সোমবার বিশ্বব্যাপী আলোচিত বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে তারা।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে। এখনো মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণে চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনোনয়ন পেয়েছে। অসলো পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরদাল বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এই বছরের পুরস্কারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নিয়ে আলোচনা করা উচিত।’
অপর দিকে ব্রিটিশ টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ডেভিড অ্যাটেনবার্গ (৯৫) বৈশ্বিক প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার জন্য মনোনীত হয়েছেন। ‘লাইফ অন আর্থ অ্যান্ড দ্য ব্লু প্ল্যানেট’ প্রামাণ্যচিত্র তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। বিশ্বজুড়ে নীতিনির্ধারকদের জন্য জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা ইন্টারগভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিস অন বায়োডাউভারসিটি অ্যান্ড ইকো–সিস্টেম সার্ভিসেসের সঙ্গে (আইপিবিইএস) যৌথভাবে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন অ্যাটেনবার্গ।
জলবায়ুসংকট সমাধানে কাজ করা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও সৌহার্দ স্থাপনে অবদান রাখায় পোপ ফ্রান্সিস মনোনীত হয়েছেন। অপর দিকে নরওয়ের গ্রিন পার্টি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সোচ্চার গ্রেটা থুনবার্গের নাম এবার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংগঠনস ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার মুভমেন্ট’ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।