নিয়ম ভেঙে এবার দুজনকে যৌথভাবে বুকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। লন্ডনে সোমবার রাতে মার্গারেট অ্যাটউড ও বার্নাডিন এভারিস্তোকে বুকার পুরস্কার জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, কানাডার নাগরিক মার্গারেট অ্যাটউডকে তাঁর ‘দ্য টেস্টামেন্টস’ বইয়ের জন্য বুকার দেওয়া হয়েছে। বইটি ‘দ্য হ্যান্ডমেডস টেল’–এর সিক্যুয়াল। অন্যদিকে অ্যাংলো-নাইজেরীয় লেখক বার্নাডিন এভারিস্তো ‘গার্ল, উইমেন, আদার’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
এর আগেও দুবার যৌথভাবে বুকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা গত শতকের নব্বইয়ের দশকের আগের ঘটনা। এরপরই এই পুরস্কারের বিষয়ে নতুন নিয়ম চালু হয়, যাতে যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়।
অবশ্য ৭৯ বছর বয়সী অ্যাটউড এর আগেও একবার বুকার পেয়েছিলেন। ২০০০ সালে ‘দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন’ নামক বইয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান। বুকারের ৫০ বছরের ইতিহাসে তিনি চতুর্থ লেখক, যিনি দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার পেলেন। যদিও গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি বই বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়ে আসছে।
লন্ডনে বসবাসকারী ৬০ বছর বয়সী এভারিস্তো বুকারের ইতিহাসে এই পুরস্কার জয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী।
পুরস্কার নিতে এভারিস্তোর সঙ্গে মঞ্চে উঠে অ্যাটউড বলেন, ‘আমরা দুজনের কেউ ভাবিনি পুরস্কারটা পাব। আমি অভিভূত। আমি খুশি হয়েছি। অবশ্য একজন ভালো কানাডীয় হিসেবে এটা বলতে হচ্ছে যে, যদি আমি এই মঞ্চে আজ একা থাকতাম, তাহলে সেটা আমার জন৵ খানিকটা বিব্রতকর হতো।’
নিয়ম ভাঙার বিষয়ে বুকার পুরস্কার নির্বাচক কমিটির এবারের প্রধান পিটার ফ্লোরেন্স বলেন, ‘যৌথ পুরস্কার না দেওয়ার নিয়মটা তোয়াক্কা না করার সিদ্ধান্ত আমরা ভেবেই নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের দুজনের বিষয়ে যতই আলোচনা করছিলাম, ততই বুঝতে পারছিলাম—আমরা সবাই চাই, তাঁরা দুজনেই পুরস্কারটা জিতুক।’
পুরস্কারজয়ের পর এক রেডিও অনুষ্ঠানে এভারিস্তো বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পুরস্কার আছে, যা বিশেষ কিছু সম্প্রদায়ের লোকেরা পাননি। বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে থেকে খুব বেশি ব্যক্তি সাহিত্যের পুরস্কারগুলো পাননি। অনেকে হয়তো বিষয়টি লক্ষ করেন না, তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
এভারিস্তো বলেন, ‘এর আগে কোনো কৃষ্ণাঙ্গই বুকার পাননি। তাই আমার মনে হয়, এটি একটি বড় পরিবর্তন। আশা করি, সামনে আরও অনেক কৃষ্ণাঙ্গ নারী এই পুরস্কার জিতবে।’