ইউক্রেনের রাস্তায় দেশটির সেনাবাহিনীর টহল
ইউক্রেনের রাস্তায় দেশটির সেনাবাহিনীর টহল

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলল হোয়াইট হাউস

রুশ জেনারেলদের হত্যা করতে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সম্পর্কে ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি অস্বীকার করেছে। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। খবর এএফপির।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর ইউনিটগুলোর অবস্থান সম্পর্কে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে এই যুদ্ধে নিহত অনেক রুশ জেনারেলকে লক্ষ্যবস্তু করা এবং হত্যার সুযোগ পায় ইউক্রেনীয় বাহিনী।

এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ইউক্রেনীয়দের নিজেদের দেশ রক্ষায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে সামরিক গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে, এটা সত্য। তবে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে (রাশিয়ার) জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা কোনো গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করি না। হামলার বিষয়ে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর সিদ্ধান্তেও অংশ নিই না।’

রুশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত ইউক্রেন নিজেরাই নেয় বলে জানান কিরবি। তিনি বলেন, ‘আমরা এবং অন্য মিত্রদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে নিজেরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোর সমন্বয় করে থাকে ইউক্রেন। তারা নিজেরা তাদের সিদ্ধান্ত নেয়। নিজেরাই নিজেদের কাজটা করে থাকে।’

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের তোলপাড় সৃষ্টি করা এই প্রতিবেদনকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, ‘ইউক্রেনীয়দের নিজেদের দেশ রক্ষায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধক্ষেত্রের গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে। রুশ জেনারেলদের হত্যার উদ্দেশ্যে আমরা কোনো গোয়েন্দা তথ্য দিই না।’

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাঁরা যুদ্ধের সম্মুখসারিতে প্রায় ১২ রুশ জেনারেলকে হত্যা করেছেন। এই যুদ্ধে এতজন রুশ জেনারেল নিহতের ঘটনা সমরবিদদের বিস্মিত করেছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলার পর থেকে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। এতে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে রুশ বাহিনী। তাদের একাধিক জেনারেল নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছে মস্কো।