ইউক্রেনের রাস্তায় দেশটির সেনাবাহিনীর টহল
ইউক্রেনের রাস্তায় দেশটির সেনাবাহিনীর টহল

দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান পশ্চিমের, ইউক্রেনের ‘না’

ইউক্রেনকে দ্রুত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাহি এ আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের দখল করা এলাকাগুলো ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এ শর্তে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি নয় ইউক্রেন। রুশ সেনারা ইউক্রেনের মাটিতে থাকতে দিয়ে কোনো চুক্তি করবে না তারা। গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ কথাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের অবস্থান দিন দিন আপসহীন হচ্ছে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন পোদোলিয়াক। তাঁর ভাষ্য, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গেলে বিপদ উল্টো ইউক্রেনের ঘাড়েই চাপবে। কারণ, যুদ্ধ বন্ধের পর রাশিয়া আরও শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাবে।

পোদোলিয়াকের সঙ্গে রয়টার্সের কথা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে। সেখানে নিরাপত্তা বেশ জোরদার। কার্যালয়ের কিছু জানালা ও করিডরে বালুর বস্তা রেখে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিরোধব্যবস্থা।

পোদোলিয়াকের মতে, ‘কোনো ধরনের ছাড় (যুদ্ধবিরতি) দেওয়া হলে রাশিয়া তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সেনাসদস্যদের নতুনভাবে সাজিয়ে নেবে, নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে কাজ করবে, অনেক জেনারেলকে (সেনা কর্মকর্তা) চাকরিচ্যুত করবে এবং নতুনভাবে হামলা শুরু করবে। তা আরও বড় পরিসরে ও রক্তক্ষয়ী হামলা হতে পারে।’

পশ্চিমাদের এ আহ্বানকে ‘খুবই অবাক করে দেওয়ার মতো’ আখ্যায়িত করেছেন মিখাইলো পোদোলিয়াক। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনাদের অবশ্যই ইউক্রেন ছেড়ে যেতে হবে। এরপরই শান্তিপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’

যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করা জরুরি বলে মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এটাই ভালো হবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিজাত শ্রেণি বুঝতে পারে, রাশিয়াকে মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, এতে তারা আরও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। তাদের অবশ্যই পরাজিত করতে হবে। আর এই পরাজয় যতটা সম্ভব বেদনাদায়ক হতে হবে।’