করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে টিকা উচ্চমাত্রায় কার্যকর। করোনার টিকা নেওয়া থাকলে সংক্রমিত হওয়ার পর মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমে ৯০ শতাংশ। স্থানীয় সময় আজ সোমবার ফ্রান্সে পরিচালিত প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলে পরিচালিত গবেষণাতেও একই ফলাফল দেখা গেছে। তবে ফ্রান্সে পরিচালিত গবেষণাটি সবচেয়ে বৃহৎ পরিসরে সম্পাদিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইপি-ফেয়ার নামের ওষুধ নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি গবেষণা দল। দলটি ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী ফ্রান্সের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের ওপর গবেষণাটি চালিয়েছে ইপি-ফেয়ার।
২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স। তখন থেকেই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়। টিকা নেওয়া ১ কোটি ১০ লাখ ও টিকা না নেওয়া ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় একই এলাকা, বয়স ও লিঙ্গের টিকা নেওয়া ও না নেওয়া দুজনকে নিয়ে একটি জোড়া করা হয়। এরপর টিকা নেওয়া ব্যক্তির দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিন থেকে দুজনের ওপর নজর রাখা হয়েছে। এই নজরদারি চলেছে চলতি বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত।
গবেষণায় উঠে এসেছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে করোনায় মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ৯০ শতাংশ কমে যায়। অতিসংক্রামক ডেলটা ধরনের ক্ষেত্রেও টিকা একইভাবে কার্যকর। দেখা গেছে, করোনার টিকা ৭৫ থেকে এর বেশি বয়সীদের শরীরে ডেলটার বিরুদ্ধে ৮৪ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই হার ৯২ শতাংশ।
ইপি-ফেয়ারের গবেষণায় আমলে নেওয়া হয়েছে ফাইজার, মডার্না আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। সেখানে দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার পর করোনায় মারাত্মক সংক্রমণ ঠেকাতে পাঁচ মাস পর্যন্ত সুরক্ষার কমতি হয় না।
ইপি-ফেয়ারের প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ মাহমুদ জুরেখ এএফপিকে বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পাওয়া ফলাফল পর্যায়ক্রমে মূল্যায়ন করা হবে।