জার্মানিতে প্রথম টিকা নিলেন ১০১ বছরের নারী

জার্মানিতে প্রবীণনিবাসের ১০১ বছর বয়সী নারী এদিথ কোইজালা প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগেই স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার তাঁকে টিকা দেওয়া হয়।


প্রবীণনিবাসের ব্যবস্থাপক টোবিয়াস ক্রুয়েজার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সোনি-আনহাল্ট এলাকার ওই প্রবীণনিবাসে ৪০ জন বাসিন্দা ও ১০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছে।


যুক্তরাজ্য ২ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার অনুমোদন দেয়। পশ্চিমা দেশে ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাই প্রথম অনুমোদন পায়।

যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়। তবে ইইউয়ের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (এমা) ২৯ ডিসেম্বর টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেয়। এর এক সপ্তাহ আগে ২১ ডিসেম্বর এমা টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেয়।


ওই দিন রাতেই ইউরোপীয় কমিশন ২৭ ডিসেম্বর থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেয়। টিকাদান কেন্দ্রের কর্মকর্তা ইমো ক্রেমার এমডিআর টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘আমাদের জন্য এক একটি দিনও মূল্যবান।’


গতকাল কয়েক হাজার টিকা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। তারা টিকাগুলো স্থানীয় টিকা কেন্দ্রে বিতরণ করেছে।

প্রবীণনিবাসের ৮০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সের বাসিন্দা ও কর্মীরা প্রথমে টিকা নেবেন। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান দিনটিকে আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মহামারি জয় করতে টিকা কার্যকর চাবিকাঠি। জীবন বাঁচাতে এটি আমাদের প্রয়োজন।’ তবে তিনি সতর্কতা জারি করে বলেন, প্রত্যেককে টিকাদান সময়সাপেক্ষ বিষয়।


করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে জার্মানির পরিস্থিতি ভালোই ছিল। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েছে। রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে ১৪ হাজার ৪৫৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪২২ জন।