সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে করা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আজ শুক্রবার চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলছে, যুক্তি না শোনা ও সমঝোতায় না আসা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছিল, বারবার চুক্তি লঙ্ঘন করছিল রাশিয়া।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আইএনএফ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি অনুসারে, দুই দেশের স্বল্প ও মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
রাশিয়া ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার এই লঙ্ঘন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের দায়িত্ব, দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’
পম্পেও পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং কক্ষ থেকে এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তিতে রাখার সম্মতি আদায়ের জন্য রাশিয়াকে ‘যথেষ্ট সময়’ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই বছরের পর বছর রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে নতুন করে তার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্রের প্রতিযোগিতা আবারও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পম্পেওর ওই ঘোষণার পর রাশিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তিতে না ফিরিয়ে আনে, তবে ১৮০ দিন পর ওই চুক্তি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘন করে রাশিয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা তৈরি করেছে। দেশটিকে চুক্তিতে ফেরাতে হলে রাশিয়াকে সব এসএসসি-৮ ক্ষেপণাস্ত্র, পরীক্ষাকেন্দ্র ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম নিশ্চিতভাবে ধ্বংস করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেছেন, কোনো ধরনের যুক্তি না শোনা এবং কোনো ধরনের সমঝোতায় না আসা প্রমাণ করে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র আগেই নিয়েছে।