ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, রাজধানী কিয়েভে সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রুশ বাহিনী। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য নিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের দেওয়া বিবৃতিতে এ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চলমান সামরিক অভিযানের ১২তম দিন আজ সোমবার। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, কিয়েভ শহরে হামলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জড়ো করতে শুরু করেছে মস্কো বাহিনী। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে বিভিন্ন পদাতিক সেনাদল কিয়েভের নিকটবর্তী শহর ইরপিনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখান থেকে হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করবে তারা।
ওই বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, রুশ কমান্ডাররা তাঁদের বাহিনীগুলোকে বেলারুশ থেকে নিয়ে আসা জ্বালানি সরবরাহ করছেন। চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘বর্জন অঞ্চল’ দিয়ে জ্বালানি পাঠানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিকোলায়িভকে ঘেরাও করে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী।
এর মধ্যেই ইরপিন শহরে মর্টার শেল হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে বিবিসি। বোমা হামলা থেকে বাঁচতে ইরপিন শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে অজ্ঞাতনামা একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘ডার্টি বম্ব’ বা পারমাণবিক বোমা তৈরির অভিযোগ করেছে। সংবাদে বলা হয়, ইউক্রেন ওই বোমা তৈরির একবারে দ্বারপ্রান্তে ছিল। তবে সূত্রটি ওই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। পশ্চিমারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে রাশিয়ার ‘মিথ্যা অজুহাত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার একটি সংস্থার প্রতিনিধির বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস, আরআইএ, ইন্টারফ্যাক্সের খবরে বলা হয়, পরিত্যক্ত চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক অস্ত্র ‘ডার্টি বম্ব’ তৈরি করছিল ইউক্রেন। ওই বোমা তৈরির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল দেশটি।