ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তবে এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির বিষয়ে জানা যায়নি। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কিয়েভে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানায় ওই হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের সন্ত্রাসী হামলা বা নাশকতামূলক কাজের বদলা হিসেবে এ ধরনের হামলা তীব্রতর করা হবে।
রাশিয়ার নৌবাহিনীর কৃষ্ণসাগর বহরের নেতৃত্বে থাকা যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে যাওয়ার ঘটনার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলেছে, রাতে কিয়েভ শহরের একটি কারখানায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ওই হামলা চালানো হয়। কারখানাটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করে আসছিল।
মস্কভা গতকাল বৃহস্পতিবার ডুবে যায়। আগের দিন বুধবার বিস্ফোরণে যুদ্ধজাহাজটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, ক্ষতিগ্রস্ত যুদ্ধজাহাজটিকে টেনে বন্দরের দিকে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় সমুদ্রের ঝোড়ো আবহাওয়ার মধ্যে সেটি ডুবে যায়। তবে কিয়েভের দাবি, তারা যুদ্ধজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। আর মস্কভাডুবির ঘটনা কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌশক্তির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে মনে করছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক প্রধান ডেভিড পেট্রাউস। নতুন করে হামলার জন্য ওই অঞ্চলে রুশ সেনারা জড়ো হচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে সিআইএর সাবেক প্রধান এ মন্তব্য করলেন।
পশ্চিমা গোয়েন্দারা বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছেন, রুশ বাহিনীর মনোযোগ এখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ঘিরে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের হামলা চালাতে তারা বিপুল সেনাসমাবেশ ঘটিয়ে চলেছে।
এএফপি জানিয়েছে, গতকাল ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির যুদ্ধবিধ্বস্ত পূর্বাঞ্চল থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসের বহরে রুশ সেনাদের হামলায় সাতজন নিহত ও দুই ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫০ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনের জনগণসহ দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার রাতে নিয়মিত এক ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘কিন্তু তারা (রুশ বাহিনী) জানত না, ইউক্রেনীয়রা কতটা সাহসী, আমরা স্বাধীনতাকে কতটা মূল্য দিই।’