কিয়েভের বাইরে প্রথম সফর জেলেনস্কির

খারকিভের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন জেলেনস্কি
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের খারকিভে সফরে গিয়ে সেখানে মোতায়েনরত সেনাসদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এটিই কিয়েভের বাইরে তাঁর প্রথম সফর। জেলেনস্কির সফর শেষ হওয়ার পর শহরটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় নিরাপত্তা প্রধানকেও বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর প্রথম দিন থেকে তুমুল বোমা হামলার শিকার হয়েছে খারকিভ। বিভিন্ন ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসে আশপাশের শহরগুলো থেকে ধীরে ধীরে রুশ সেনারা সরে যেতে শুরু করেছেন। যাঁরা খারকিভ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ১৫ দিন ধরে অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সম্প্রতি আবারও গোলা হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার খারকিভ অঞ্চলের বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলেনস্কি। সেনাসদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সে সময় তাঁর গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। জেলেনস্কি সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেককে আলাদা করে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

জেলেনস্কি খারকিভ সফর করে কিয়েভে ফিরে যাওয়ার পর খারকিভে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। জেলেনস্কির সফর শেষ হওয়ার পর তাঁর কার্যালয় থেকে টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: ‘খারকিভ ও ওই অঞ্চলে ২ হাজার ২২৯টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা একে আবারও আগের রূপে ফিরিয়ে আনব, পুনর্গঠন করব এবং প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনব। খারকিভসহ যেসব শহরে দুর্বৃত্তদের ছায়া পড়েছে সব জায়গায় একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিয়েভে ফিরে যাওয়ার পর জেলেনস্কি বলেন, তিনি খারকিভ অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রধান রোমানকে বরখাস্ত করেছেন। কারণ, পুরোদমে যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনগুলোয় শহরের সুরক্ষায় কাজ করেননি রোমান। তিনি শুধু নিজের কথাই ভেবেছেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাই তা খুঁজে বের করবেন, বলেন জেলেনস্কি।

খারকিভের মেয়র ও আঞ্চলিক গভর্নরের সঙ্গেও দেখা করেছেন জেলেনস্কি। তাঁদের সঙ্গে শহর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরকে পুনর্গঠনের জন্য পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়েরমাক বলেন, খারকিভ অঞ্চলের ৩১ শতাংশ বর্তমানে রাশিয়ার দখলে, ৫ শতাংশ জায়গার পুনর্দখল নিতে পেরেছে ইউক্রেন।