করোনাভাইরাসেই ধরেছে কি না, এমন এক সন্দেহ দানা বাঁধল মনে। স্বামী আর দুই ছেলেকে এই সন্দেহের কথা বলেও ফেললেন সে নারী। অমনি ঘটে গেল বিপত্তি। আপনজন হয়ে গেল পর। ওই নারীকে শৌচাগারে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দিলেন স্বামী আর দুই ছেলে।
লিথুনিয়ার ভিলনিউয়াসে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
পুলিশের মুখপাত্র রামুনেস ম্যাটোনিস এএফপিকে জানান, ওই নারী তাঁর স্বামী ও প্রাপ্তবয়স্ক দুই ছেলেকে বলেছিলেন যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন। এ কথা শোনামাত্র স্বামী ও দুই ছেলে ওই নারীকে শৌচাগারে আটকে রাখেন। তাঁরা তাঁকে শৌচাগার থেকে বের হতে দেননি। পুলিশের কাছে এ খবর পৌঁছে যায়।
ওই নারী তাঁর স্বামীকে বলেছিলেন, বিদেশ থেকে আসা একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার পরই তাঁর মনে সন্দেহ দেখা দেয় যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
পুলিশের মুখপাত্র রামুনেস ম্যাটোনিস বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে কোনো সহিংসতা ছিল না, কোনো অভিযোগ ছিল না। একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। লিথুনিয়ায় এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে কাউকে শনাক্ত করা হয়নি। ইউরোপের এই দেশ ২৮ লাখ মানুষের বাস।
ওই নারী যে ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি ইতালির উত্তরাঞ্চলের ভেরোনা এলাকা থেকে ফিরে এসেছিলেন। ইতালিতে করোনোভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
গতকাল ইতালিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই চীনের।