ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্থানীয় সময় আজ রোববার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য দেবেন। ইউক্রেনের পাশে থাকার ব্যাপারে ইসরায়েলের মধ্যে অনাগ্রহ লক্ষ করা গেছে। দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকার চেষ্টা করছে। খবর বিবিসির।
জেলেনস্কি সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে এখন অবকাশ চলছে। পার্লামেন্ট ভবনটিতে সংস্কারকাজ চলছে। এ কারণে বিশেষভাবে সংরক্ষিত জুম কলে সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে জেলেনস্কির আলোচনা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তেল আবিবে বড় পর্দায় জেলেনস্কির ভাষণ সম্প্রচার করা হবে।
বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, জেলেনস্কি ইহুদিবাদের প্রচার চালাবেন। রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর দেশ যেভাবে লড়াই করছে, তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও জার্মানির নাৎসি বাহিনীর হামলার সঙ্গে তুলনা করবেন তিনি।
রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাতে ইসরায়েল নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত, যিনি মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিলেন, তিনিও সে কাজ থেকে বিরত রয়েছেন।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর ১৫ দিন পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে মস্কোয় যান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত। প্রাণহানি কমাতে ও এই সামরিক অভিযানের ইতি টানতে এ পদক্ষেপ নেন তিনি। সে সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন তিনি। সে সময় বেনেত বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখা ইসরায়েলের নৈতিক দায়িত্ব।