করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হতে পারে। দেশটির সরকারের এক জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এই বলে সতর্ক করেছেন। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গতকাল রোববার যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোয় করোনায় প্রাণহানী ১০ হাজার অতিক্রম করে। এমন প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকারের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার জেরেমি ফারারের কাছ থেকে সম্ভাব্য ভয়ংকর পরিস্থিতির ব্যাপারে সতর্কতা এল।
ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক স্যার জেরেমি বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোতে বলেছেন, করোনাভাইরাসে ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ না হলে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হতে পারে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোয় এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালের বাইরে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের হিসাব এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
আর যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে তিন দিন পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। তাঁকে অবশ্য গতকাল হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এখনই দায়িত্বে ফিরছেন না।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির জনগণকে ঘরে থাকতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছে। দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছে। ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালির পরেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছে। জার্মানিতে মারা গেছে ২ হাজার ৯০০ জন।
ব্রিটিশ সরকারের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার জেরেমি বলেছেন, করোনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা যুক্তরাজ্যের চেয়ে জার্মানিতে কম। এর অন্যতম কারণ জার্মানিতে করোনার ব্যাপক পরীক্ষা। নিঃসন্দেহে এখান থেকে শেখার আছে।