পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। খবর এএফপির।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতাকে আরও কঠিন করে তুলবে।
পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাকে ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন আলেকজান্ডার গ্রুশকো।
আলেকজান্ডার গ্রুশকো আরও বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ সামরিক উত্তেজনা বাড়াবে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেবে।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা চলছে।
কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে মস্কো। তবে মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। একই সঙ্গে তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে আনতেও নারাজ।
এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল বুধবার পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা অনুযায়ী, জার্মানিতে ইতিমধ্যে অবস্থান করা এক হাজার মার্কিন সেনা যাবে রোমানিয়ায়। আর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে দুই হাজার মার্কিন সেনা যাবে জার্মানি ও পোল্যান্ডে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জোর দিয়ে বলেন, পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ন্যাটো জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। যুদ্ধের জন্য দেশটিতে কোনো মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন পেন্টাগনের মুখপাত্র।
পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) আক্রমণাত্মক আচরণ করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপে আমাদের ন্যাটো মিত্রদের আশ্বস্ত করব যে আমরা পাশে আছি।’
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আশঙ্কার মুখে পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণার এক দিন আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন অভিযোগ করে বলেন, তাঁর দেশকে একটি যুদ্ধে নামানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।