ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার কিয়েভকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রার্থিতার মর্যাদা দিতে সমর্থন দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘এটি ইইউ সদস্য পদের প্রথম ধাপ, যা অবশ্যই আমাদের বিজয়কে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে।’
ইউক্রেনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন যোগ দেওয়ার দীর্ঘ পথ এ বছরেই খুলতে পারে। ২৩ থেকে ২৪ জুন ইইউ নেতাদের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ইইউ কমিশন ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ প্রার্থী দেশ হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েনও ঐতিহাসিক এ সিদ্ধান্তের জন্য প্রতিটি সদস্যদেশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুবেল ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি ইউরোপীয় নেতৃত্বের একটি উজ্জ্বল প্রমাণ এবং ইউক্রেনের আরও পরিবর্তনের জন্য বিশাল উত্সাহ বয়ে আনবে।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরে যান ইউরোপের চার দেশের সরকারপ্রধানেরা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ও রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইয়োহানিস কিয়েভ সফরে গিয়ে বলেন, ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানাতেই তাঁরা কিয়েভে এসেছেন। তাঁদের এই সফরেই ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত করার বিষয়ে সমর্থনের বিষয়টি সামনে আসে।
বুধবার ইউরোপের রোমানিয়ায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে ইউক্রেন ও দেশটির জনগণ যাঁরা কয়েক মাস ধরে নায়কোচিতভাবে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক সংকেত দেওয়া প্রয়োজন।