ইউক্রেন সংকট: সমঝোতার দাবি মাখোঁর, পুতিনের না

বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
 ছবি: এএফপি

ইউক্রেন সংকট সমাধানে আলোচনায় বসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বৈঠকের পর মাখোঁ দাবি করেছেন, ইউক্রেনে সংকট যাতে আর না বাড়ে, সেই ব্যাপারে পুতিনকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তবে পুতিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না—   এমন কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর আজ মঙ্গলবার মাখোঁ এই দাবি করেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য খারিজ করে দেয় ক্রেমলিন।

ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া ন্যাটোর সামরিক শক্তি বাড়াতে পূর্ব ইউরোপে বাড়তি সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পরিস্থিতি মাখোঁ রাশিয়া সফর করলেন। নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এই প্রথম পশ্চিমা দেশের কোনো নেতা রাশিয়া সফর করলেন।

এই বৈঠকের পর আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যান মাখোঁ। সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সংকটের আর অবনতি হবে না বা উত্তেজনা আর বাড়বে না, এটা আমি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।’

সোমবার বৈঠকের পর পুতিন ও মাখোঁ সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কিন্তু সেই সংবাদ সম্মেলন থেকে বড় কোনো অর্জনের কথা বলা হয়নি। যদিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন সীমান্ত এলাকায় আর কোনো সামরিক মহড়া চালাবেন না পুতিন, এই প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন। এ ছাড়া সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া বা সেখানে সেনা উপস্থিতি কমানো হবে, এমন তথ্য সঠিক নয়। তিনি বলেন, বেলারুশ থেকেও রুশ সেনারা কখন চলে যাবেন, সেই বিষয়েও কোনো প্রতিশ্রুতি পুতিন দেননি। বেলারুশে মহড়ার পরে কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ওই সেনাদের দেশে ফেরা। তবে এই সেনারা যে বেলারুশে থেকে যাবে, সেই কথাও কেউ বলেনি।