ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ‘নিষিদ্ধ’ তথ্য সরিয়ে ফেলতে উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার একটি বিচারিক আদালত। তবে আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে ওয়েবসাইটটি। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
উইকিপিডিয়ার মালিকানা উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে উইকিমিডিয়া বলেছে, তথ্য সরিয়ে নেওয়া জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্য জানার অধিকার লঙ্ঘনের শামিল হতে পারে। গত ৬ জুন আদালতে আপিল করা হয়েছিল বলেও এতে জানানো হয়।
উইকিমিডিয়া বিবৃতিতে আরও বলেছে, যদিও তাদের ওয়েবসাইটটি রাশিয়ার অভ্যন্তরে কার্যক্রম চালাচ্ছে, এরপরও উইকিপিডিয়ার অনলাইন বিশ্বকোষের ওপর দেশটির কোনো এখতিয়ার নেই। সংগঠনটি এটিকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে দাবি করে যা ৩০০টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যেসব নিবন্ধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেসব নিবন্ধ সরাতে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার কোনো দাবি মেনে নেয়নি তারা।
রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুশ ভাষার উইকিপিডিয়া থেকে ‘সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অসত্য তথ্য’ সরাতে অস্বীকৃতি জানানোয় উইকিমিডিয়াকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ মিলিয়ন রুবল (৮৮ হাজার ডলার) জরিমানা করেছেন ওই রুশ আদালত।
বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়েবসাইটটিকে রাশিয়ার ওপর ‘বিরতিহীন তথ্য হামলা’ এবং অনৈতিক রুশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়ার হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রসিকিউটর।
উইকিমিডিয়া বলেছে, যেসব নিবন্ধ নিয়ে আদালত প্রশ্ন তুলেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বুচায় হত্যাযজ্ঞ’, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন’ এবং ‘কিয়েভের জন্য লড়াই’। সংগঠনটির দাবি, সবগুলো নিবন্ধেই ‘বাস্তবভিত্তিক তথ্য’ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া বলছে, রাশিয়ায় উইকিপিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হলে সাড়ে ১৪ কোটির বেশি মানুষ এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভান্ডার থেকে বঞ্চিত হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়ালে কর্তৃপক্ষকে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে গত মার্চে নতুন আইনের অনুমোদন দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আইন অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ রুবল পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।