ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। ইউক্রেনের চিফ প্রসিকিউটর ইরিনা ভেনেদিকতোভার বরাত দিয়ে আজ রবিবার আল-জাজিরা ও প্রাভদা এ কথা জানিয়েছে।
ইরিনা বলেন, নিহত বিদেশি সাংবাদিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও রাশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংবাদিক রয়েছেন।
ইউক্রেনের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পুতিনের আগ্রাসনের সত্য উদ্ঘাটন ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রাণঘাতী। এ যুদ্ধে ইতিমধ্যে ১২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁরা রুশ ফেডারেশনের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন এবং রুশ হামলার শিকার হন। আরও ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
টিভি টাওয়ার এবং টিভি ও রেডিও স্টেশনে গোলাবর্ষণ, ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত করার কমপক্ষে সাতটি ঘটনা নথিবদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ ইনস্টিটিউট অব মাস মিডিয়ার সহযোগিতায় প্রসিকিউটর কার্যালয় পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর ইরিনা। পুরোদমে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ১৪৮টি অবৈধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে জানানো হয়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংগঠন প্রেস এমব্লাম ক্যাম্পেইন (পিইসি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, বর্তমানে তিন হাজার বিদেশি সাংবাদিক ইউক্রেনে কাজ করছেন। সাধারণত তাঁদের অনেকেই এ ধরনের সহিংস পরিস্থিতিতে কাজ করতে প্রস্তুত নন।
বিদেশি সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বশেষ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গোলাবর্ষণে রুশ নারী সাংবাদিক ওকসানা বাউলিনা নিহত হন। রুশ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ধারণ করার সময় গোলার আঘাতে নিহত হন তিনি। রাশিয়ার একটি স্বতন্ত্র সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন ওকসানা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। দেশটির বিরুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা এবং সাংবাদিকদের আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।