নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধ

ইউক্রেন প্রশ্নে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা কতটা

পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে রাশিয়ার বারবার অবস্থান বদলের কারণে কিছু বিশ্লেষকের ধারণা জন্মেছে, কার্যকর কৌশল হিসেবে তা ক্রেমলিনের ভাবনায় আছে

হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে একটি আবাসিক ভবন। উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে
ছবি: এএফপি

রাশিয়া ও ন্যাটোর (মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড, বেলারুশ ও রোমানিয়া) সীমান্তে চলছে বড় ধরনের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে সামরিক সহায়তা ক্রমে জোরদার করছে পশ্চিমারা। সরাসরি প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া। অবরোধের আবহে বেপরোয়া ক্রেমলিন। প্রতিটি পক্ষের ‘লাল রেখা’ নিয়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।

ইউক্রেন প্রশ্নে নিজেদের অবস্থানে অনড় রাশিয়া ও ন্যাটো। এ পটভূমিতে দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি সংঘাত এখনো দূরবর্তী বিষয় হলেও তার ঝুঁকি ক্রমে বাড়ছে বলেই মনে করেন পরমাণু কৌশলবিদ ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, সে ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্রে একে অপরকে ঘায়েলের চেষ্টাও হতে পারে।

‘(ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে) পরমাণু যুদ্ধের বাস্তবিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।’
আন্তনিও গুতেরেস , জাতিসংঘের মহাসচিব

চলতি সপ্তাহেই জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ‘(ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে) পরমাণু যুদ্ধের বাস্তবিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।’

উভয় পক্ষের নেতৃত্বই জোর দিয়ে বলছেন, তেমন যুদ্ধের চিন্তা তাঁদের দূর ভাবনাতেও নেই। তবে বিশ্লেষকদের ভয় অন্যখানে। তাঁরা বলছেন, সুচিন্তিতভাবে যুদ্ধের পরিধি বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা নেই, কিন্তু ভুল–বোঝাবুঝি অথবা উসকানির মাত্রা সীমা ছাড়ালে প্রতিটি পক্ষ জবাব দেবে, সে ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে তারা।

কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধের মতো এত উত্তুঙ্গ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি আর তৈরি হয়নি। কিছু দিক বিবেচনায় বর্তমান পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়ংকর।

আপাতদৃষ্টে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকা ন্যাটো জড়ো হচ্ছে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে, আর ইউক্রেনে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। উভয়েই আছে অস্বাভাবিক রকম বিপদে। অর্থনৈতিক অচলাবস্থা ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার মুখে পড়েছেন ক্রেমলিন নেতৃত্ব। ফলে তাঁদের মধ্যে বাড়ছে বিহ্বলতা। ফলে তাঁরা হয়তো বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, তাঁদের উৎখাতে নীলনকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা

পশ্চিমা সরকারগুলো ইউক্রেনে অস্ত্রসহ সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। একে যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করছে রাশিয়া। তারা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোকে লক্ষ্য করেও হামলা হতে পারে। সপ্তাহজুড়ে ইউক্রেনের যে সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, সেটির অবস্থান পোল্যান্ডের ভূখণ্ড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।

জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু কৌশলবিদ আলরাইখ কান বলেন, ‘এসব বিষয় উত্তেজনা বৃদ্ধিতে আমাকে সত্যিই শঙ্কিত করে তুলেছে।’ তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা খুবই কম, কিন্তু তা শূন্য পর্যায়ে নয়। এটা বাস্তবতা এবং এই বাস্তবতা খারাপ পরিস্থিতির দিকে গড়াতে পারে।’

জড়িত সব পক্ষের যুদ্ধের পরিকল্পনা ও অন্যান্য সূচক আমলে নিয়ে সম্ভাব্য একটা ‘ভবিষ্যৎচিত্র’ তুলে ধরার চেষ্টা করেছে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়। এতে অনুমান করা হয়েছে, ইটের বদলে পাটকেল ছোড়ার বিষয়টি উসকে উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের মতো কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহারে হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটবে।

২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ন্যাটোর ডেপুটি মহাসচিব ছিলেন আলেক্সান্ডার ভার্সবো। তিনি বলেন, বড় কোনো সংকটে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকতে পারে—পশ্চিমা নেতারা এমনটাই মনে করেন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে, যা মস্কোর নেতারা নিজেদের অস্তিত্বের সংকট হিসেবে দেখছেন। ফলে ভার্সবোর মতে, ‘তেমন আশঙ্কা (পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার) অবশ্যই মাথা চাড়া দিয়েছে।’

‘লাল রেখা’

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল নেয় রাশিয়া। এর জেরে পশ্চিমের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ে রাশিয়ার। তখন থেকে ‘রাষ্ট্রের অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি তৈরি হলে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের নীতির বিষয়টি রাশিয়া স্পষ্ট করে আসছে।

২০১৭ সালে মস্কো নিজেদের অবস্থান (ডকট্রিন) লিখিত আকারে তুলে ধরে। সেটির ভাষায় ছিল অস্পষ্টতা। তবে কৌশলগতভাবে সম্ভাব্য ব্যবহারের বাইরে থাকা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যা বলা হয়েছে, কোনো কোনো ব্লিশ্লেষকের মতে, তা পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারেরই ইঙ্গিত দেয়।

রুশ সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য এভজিনি বুঝিনস্কির ব্যাখ্যা হলো, বিষয়টি ‘তেমন মনোভাবই বোঝায়।’ ওই নীতিমালার কিছু সংস্করণে জনশূন্য ভূখণ্ডে আঘাত হানা, অন্য ক্ষেত্রে শত্রুবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

এর পরের বছর ২০১৮ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার তার ভূখণ্ডের মধ্যে ‘কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে’ পরমাণু ওয়ারহেড ব্যবহার করতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত বেধে যাওয়া অথবা কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়ে। কেননা পরমাণু ওয়ারহেড ব্যবহারে কোনো ভুল হলে বা এ রকম অন্য কিছু হলে তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। ২০২০ সালের রুশ সরকারের কিছু কাগজপত্রেও তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এতে ড্রোনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারের বিষয়টি রয়েছে, যা রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ‘লাল রেখা’ নির্দেশ করে।

সোভিয়েত আমলের নেতারা যে সংকটের মোকাবিলা করেননি, তেমন সংকট চিহ্নিত করার বিষয়টি নীতিমালায় রয়েছে। যেমন শীতল যুদ্ধের মতো না হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথাগত যুদ্ধে ন্যাটো সহজে জয় পেতে পারে, এমনটা রুশরা মনে করেন।

ধারণা করা হয়, রাশিয়ার ভান্ডারে অন্তত এক হাজারটি ছোট ওয়ারহেড (ননস্ট্র্যাটেজিক) প্রস্তুত আছে। এর পাশাপাশি আছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা পশ্চিমাদের প্রতিরোধের আগেই ইউরোপে শাঁ শাঁ করে ছুটে যেতে পারে।

ঝুঁকি কতটা?

রাশিয়ার সামরিক নীতিমালার বিশ্লেষক দিমিত্রি গোলেনবার্গ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত সহজেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।’

শীতল যুদ্ধের প্রক্সি না হলেও অবস্থা কিছুটা তেমনই। কেননা, ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ইউরোপের কেন্দ্রস্থলেই। ন্যাটো ও রাশিয়ার বাহিনীও জড়ো হয়েছে তুলনামূলক মস্কো ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের রাজধানীর কাছেই।

এরই মধ্যে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে একধরনের সংঘাত শুরু হয়ে গেছে বলেই মনে করে মস্কো। অন্তত পরিস্থিতি দেখে তেমনটাই প্রতীয়মান হয়।

রাশিয়ার অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করবে পশ্চিমারা, যা তাদের আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে, এমন ভয়ও রাশিয়ার কৌশলগত নীতিমালায় ছাপ রেখেছে।

পুতিনকে এখন অর্থনৈতিক অচলাবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাড়ছে প্রতিবাদও। এ কথা উল্লেখ করে র‌্যান্ড করপোরেশনের রুশ পররাষ্ট্রনীতির গবেষক স্যামুয়েল চ্যারাপ বলেন, ‘তাদের দুঃস্বপ্নের অনেক উপাদান এরই মধ্যে এক জায়গায় জড়ো হচ্ছে।’

এ পরিস্থিতিতে ন্যাটোর বাহিনী গড়ে তোলা বা ইউক্রেনকে সহযোগিতার জন্য তাদের সামরিক পদক্ষেপের ভুল ব্যাখ্যা করতে পারে মস্কো। তাদের মনে হতে পারে, এসবই রাশিয়াকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি। এ বিষয়টিকেই আমলে নিয়ে দেশটি তাদের পরমাণু নীতিমালা তৈরি করেছে। রুশ পররাষ্ট্রনীতির গবেষক স্যামুয়েল চ্যারাপ এমনটাই মনে করেন।

‘কোথায় আসলে আমাদের সীমারেখা, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা আছে কি না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।’ গোলেনবার্গের দৃষ্টিতে এটিও একটা সমস্যা। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা যুদ্ধবিমান দেওয়ার (ইউক্রেনকে) বিষয় নিয়ে সবার দোনোমনা দেখতে পাচ্ছি। রাশিয়া বিষয়টিকে কীভাবে নেবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
দিমিত্রি গোলেনবার্গ , রাশিয়ার সামরিক নীতিমালার বিশ্লেষক

প্রেসিডেন্ট পুতিন এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ রাশিয়াকে পারমাণবিক যুদ্ধে দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য পশ্চিমাদের সমর্থনের প্রতিটি পদক্ষেপকে এখন সেই পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে।

রাশিয়ার সামরিক নীতিমালার বিশ্লেষক দিমিত্রি গোলেনবার্গ বলেন, ‘কোথায় আসলে আমাদের সীমারেখা, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা আছে কি না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।’ গোলেনবার্গের দৃষ্টিতে এটিও একটা সমস্যা। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা যুদ্ধবিমান দেওয়ার (ইউক্রেনকে) বিষয় নিয়ে সবার দোনোমনা দেখতে পাচ্ছি। রাশিয়া বিষয়টিকে কীভাবে নেবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

জার্মান বিশ্লেষক ড. কুনের আশঙ্কা, আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নীতিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে নাকি অন্য কোনোভাবে সীমা লঙ্ঘন করবে রাশিয়া, তা আন্দাজের বাইরে। এ অবস্থায়ও আমেরিকান নেতারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে নজিরবিহীন চাপের মুখে পড়তে পারেন।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের অনেকেই উড়ান–নিষিদ্ধ এলাকা বা নো ফ্লাই জোন কার্যকর করা বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি হলো, আমেরিকার পরমাণু ওয়ারহেড মস্কোকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত রাখবে।

‘ওয়ার গেমস’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার এস শিভিস সম্প্রতি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের যুদ্ধের খেলা’ পুতিনকে পরমাণু হামলায় উসকানি দিয়ে থাকবে। যদি তাঁকে স্বল্প পরিসরেও ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে হয় অথবা ইউক্রেনে পিছু হটতে হয়, তবে তিনি পশ্চিমকেই দোষারোপ করবেন।

সত্য হলো, পুতিনও হয়তো তাঁর পারমাণবিক অস্ত্রের ‘লাল রেখা’ জানেন না, কিন্তু আমেরিকানরা ভীত যে রাশিয়ার পরমাণু উত্তেজনাও ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

যেকোনো পারমাণবিক সংঘাতই শুরুতে সীমিত পরিসরে থাকে, কিন্তু পরে তা ক্রমে ঝুঁকি বাড়ায়, কৌশলবিদেরা যে অবস্থাকে বলেন, ‘হয় ব্যবহার করো নয়তো হেরে যাও।’

উভয় পক্ষই জানে, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার ইউরোপে তাদের সামরিক শক্তির ক্ষয় সাধন করবে, এমনকি তাদের সমগ্র পারমাণবিক ভান্ডারও তাদের প্রতিরক্ষাহীন অবস্থায় ঠেলে দেবে।

এর মানে হলো, অন্য পক্ষ পরমাণু হামলা চালাতে পারে, এমন উসকানিতে আছে উভয় পক্ষই। এমনকি উভয় পক্ষের নেতারা এটাও জানেন, তাঁদের ভুলের কারণেও এর সূচনা হতে পারে।

● নিবন্ধটি নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনে ১৬ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে।

●ইংরেজি থেকে কিছুটা সংক্ষেপিত অনুবাদ: হাসান ইমাম