ইউক্রেনে অবিশ্বাস্য বর্বরতার অভিযোগে ৪০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে জার্মানি। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঠিক কতজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি বার্লিন। তবে বার্লিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বহিষ্কারের তালিকায় একটা বড়সংখ্যক রুশ কূটনীতিক রয়েছেন।
রুশ দূতাবাস নিশ্চিত করেছে, জার্মানিতে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের ৪০ সদস্যকে সে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
বার্লিনের সবশেষ এ পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। গতকাল সোমবার মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়, রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত জার্মানি নিয়েছে, তা বন্ধুসুলভ নয়। জার্মানির এ সিদ্ধান্ত বার্লিনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ককে খারাপ করবে।
বার্লিনের রুশ দূতাবাস টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, জার্মানিতে রাশিয়ার মিশনের কূটনৈতিকদের সংখ্যা ভিত্তিহীন কারণে কমিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখার পরিবেশ সংকুচিত করবে। এটি রাশিয়া-জার্মানি সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলো তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আসছে। সবশেষ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী বুচা শহরে বেসামরিক লোকজনের লাশ ও গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর এ ক্ষোভ আরও বেড়েছে। বিষয়টিকে রুশ বাহিনীর ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে দেখছে ইউক্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এমন প্রেক্ষাপটে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিল বার্লিন।
তবে ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
জার্মানিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বলেছে, তারা বার্লিনের একতরফা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। বুচার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের জন্য অপেক্ষা না করেই বার্লিন কিয়েভের পক্ষ নিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মস্কোর বিরুদ্ধে দুর্নাম রটানোর লক্ষ্যেই কিয়েভ এসব অভিযোগ করছে।