ইউক্রেনে আবার কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জ্বালানি মজুতের একটি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে পরপর দুই দিন শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতির এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রুশ বাহিনী। খবর আল–জাজিরার।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ রোববার বলেছে, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য রাখা জ্বালানি তেলের একটি মজুত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝালের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থাপনাটি মিকোলাইভ অঞ্চলের কোস্তিয়ান্তিনিভকার কাছে অবস্থিত।’
এ নিয়ে টানা দুই দিন ইউক্রেনে কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া। কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতিতে ছুটতে পারে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগর ও কাস্পিয়ান সাগরে থাকা যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আর ক্রিমিয়ার আকাশসীমা থেকে ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
রোববার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কভ বলেন, ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় শনিবার রাত এবং রোববার সকালে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিনি বলেন, নিঝিন প্ল্যান্ট লক্ষ্য করে কৃষ্ণসাগরের জলসীমা থেকে কালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের সাঁজোয়া যানগুলো এই প্ল্যান্টে মেরামত করা হতো।
কোনাশেঙ্কভ বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা জ্বালানি মজুতের একটি স্থাপনা ধ্বংস করতে কাস্পিয়ান সাগর থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আর ক্রিমিয়ার আকাশসীমা থেকে হাইপারসনিক কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। গত ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া।
এর আগে শুক্রবার রোমানিয়া সীমান্তবর্তী পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের গুদামে কিনঝাল সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। বিশ্বে এটাই এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যবহার বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
পরদিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের ইভানকো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলের দেলিয়াতিন গ্রামে এই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই গুদামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানের গোলাবারুদ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। সেগুলো ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলা রোববার ২৫তম দিনে গড়িয়েছে। গত কয়েক দিন একাধিক ফ্রন্টে কিছুটা অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, স্থল অভিযানে অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয়ে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া।