ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর দেশের ভূখণ্ডের ২০ শতাংশ দখলে নিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে লুক্সেমবার্গের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গের এমপিদের উদ্দেশে ভিডিও ভাষণ দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রাশিয়ার সম্মুখসারির যোদ্ধারা ইউক্রেনের ১ হাজার কিলোমিটারের বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর রণসক্ষমতার সবটুকুই চলমান এ আগ্রাসনে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দনবাসের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া শহরটির বেশির ভাগ অংশ দখলে নিয়েছে এবং বিপুল গোলাবারুদ ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে সাফল্য অর্জন করছে তারা।
ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে পূর্বের শহর হচ্ছে সেভেরোদোনেৎস্ক। আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছেন, সব দিক থেকে শহরটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাঙতে চাইছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় সেনারাও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়া তীব্র লড়াইয়ের কারণে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় বলে মনে করেন হাইদাই। এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, দনবাসে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে সেভেরোদনেৎস্কে লড়াইয়ে কিছুটা সাফল্যও পেয়েছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা।
প্রায় ১৫ হাজার বেসামরিক নাগরিক শহরের ভেতরে আটকে পড়েছেন। তাঁদের অনেকে শহরটির আজত রাসায়নিক কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।