ইউক্রেনের অসুস্থ শিশুদের নিরাপদে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করায় ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত মাখোঁসহ আরও কয়েক ফার্স্ট লেডিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কা। ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদান ও সহায়তা করায় ইউরোপীয়দের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এ জন্য তাঁরা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি। খবর গার্ডিয়ানের।
লে প্যারিসেন পত্রিকায় এক লেখায় ৪৪ বছর বয়সী ওলেনা জেলেনস্কা বলেন, যখন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করে, তখন তিনি বিশ্বের ফার্স্ট লেডিদের সমর্থন চান। শুরুতেই যাঁরা সাড়া দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ব্রিজিত মাখোঁ। তাঁদের দুজনের সম্পর্ক ‘উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ বলেও জানান ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি।
জেলেনস্কা বলেন, ‘আমার আহ্বানে সাড়া পেয়েছি। আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে ও সাহস দিয়ে যাঁরা আমাদের জনগণকে সাহায্য করছেন, সেই ইউরোপীয়দের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই... আমাদের মতো আপনারাও নিজেদের দেশে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এত মানুষকে গ্রহণে প্রস্তুত নন। কিন্তু যেভাবে আপনারা বিষয়টি গ্রহণ করেছেন, তা সম্মিলিতভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ইউক্রেনীয়রা অন্য রকমের মানুষ এবং খুবই কৃতজ্ঞ জাতি। আপনারা আমাদের জন্য যা করেছেন, তা আমাদের শিশুরা কখনো ভুলবে না’
ওই লেখায় নিজের স্বামীর সাহসেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন জেলেনস্কা। তিনি বলেন, ‘আমি কি মানুষটার প্রশংসা করছি? প্রতিদিন আমি কি বিস্মিত? না। ভলোদিমির সব সময় এ রকম— দৃঢ়চেতা ও শান্ত। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয়রা ও গোটা বিশ্ব সুস্পষ্টভাবে দেখেছে, সে কেমন নীতি ধারণ করে এবং তার মধ্যে তারা শক্তি খুঁজে পেয়েছে। সে কখনো ইউক্রেনের স্বার্থে ছাড় দেবে না।’
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের অসুস্থ শিশুদের সরিয়ে নিতে ব্রিজিত মাখোঁ ও পোল্যান্ডের ফার্স্ট লেডি আগাতা কর্নহাউসার-দুদার সঙ্গে কাজ করেছিলেন জেলেনস্কা। বিশেষ করে ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের জীবন রক্ষায় চিকিৎসা অব্যাহত রাখাটা ছিল জরুরি।