জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ

অ্যাসাঞ্জ আপিল আবেদন করতে পারবেন

যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করতে পারবেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (৫০)। আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। এর আগে গত ডিসেম্বরে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের বিষয়ে করা এক আপিল আবেদনে জয়ী হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওই আপিল জয়ের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জুলিয়ানের প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছিল। গুপ্তচরবৃত্তির আইন ভঙ্গের একটিসহ যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মোট ১৮টি অভিযোগ আনে। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের একটি নিম্ন আদালত অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তখন আদালত বলেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবে না।

এ ক্ষেত্রে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে। পরে যুক্তরাজ্যের নিম্ন আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে (লন্ডনের হাইকোর্ট) আপিল করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১০ ডিসেম্বর লন্ডনের উচ্চ আদালতে ওই আপিল আবেদনে জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা প্রবল হয়।

২০১০ ও ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যকে বলা হয়, যদি তারা হস্তান্তরে সম্মত হয়, তবে অ্যাসাঞ্জ তাঁর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় যেকোনো মার্কিন কারাগারে সাজা ভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া তাঁকে কলোরাডোর উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট এডিএক্স কারাগারে রাখা হবে না। তখন ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা।