ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের মুখোমুখি রাশিয়া। এ নিয়ে দুই পক্ষই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টি না করতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানান তিনি। খবর এএফপির।
গত বছর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সেখানে সামরিক মহড়া জোরদার করা হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেন দখল করতেই রাশিয়ার এই সেনা সমাবেশ। তবে রাশিয়া এমন অভিযোগ নাকচ করে আসছে। সবকিছু মিলিয়ে উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গন। দফায় দফায় আলোচনায় বসছে নানা পক্ষ।
ইউক্রেনকে ঘিরে পশ্চিম ও রাশিয়ার উত্তেজনা যখন চরমে, তখন শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই আতঙ্ক চাই না।’ এ সময় আগে থেকেই ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার ওপর জোর দেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গত বসন্তেই সীমান্তে একই ধরনের সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছিল রাশিয়া। তাই এবারের সেনা মোতায়েনে আগের চেয়ে বড় কোনো হুমকি দেখছেন না তিনি।
প্রশ্ন তুলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুদ্ধ হবে বলে নানা সতর্কতা আসছে। বিভিন্ন দেশের প্রধানেরাও এমন সংকেত দিচ্ছেন। তাঁরা শুধু বলছেন, যুদ্ধ বাধবে। এটা আতঙ্ক। এর ফলে আমাদের দেশকে কতটা মূল্য দিতে হবে?’ জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো, দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতা।’
ইউক্রেনকে নিয়ে রাশিয়ার মাথাব্যথার কারণ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। ন্যাটোর সদস্য হতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। তবে এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে মস্কোর। কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশটিকে ন্যাটোর অংশ হতে দিতে চায় না তারা। সবশেষ ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকেও একই বিষয় তোলা হয়। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না—উত্তেজনা কমাতে মার্কিন সরকারের কাছে এমন প্রতিশ্রুতি চায় ক্রেমলিন। তবে তা নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে ইউরোপের এ অঞ্চলে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, একবার যুদ্ধ বাধলে ব্যবহার হতে পারে পারমাণবিক অস্ত্রও।