অভিযান শেষে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে: আশা পুতিনের

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য দেন ভ্লাদিমির পুতিন
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে অভিযান শেষে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত এক অর্থনৈতিক ফোরামে এ কথা বলেন তিনি। খবর এএফপি ও রয়টার্সের

অর্থনৈতিক ফোরামে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের সঙ্গে এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন পুতিন। তিনি বলেন, আগে অথবা পরে, পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

পুতিনের আজকের বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। সেখানে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেন তিনি। পুতিনের ভাষ্য, নানা দেশে মূল্যস্ফীতির জন্য ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান দায়ী নয়। পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের ভুলগুলো ঢাকতেই দায় মস্কোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। চলতি বছরে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে পুতিন বলেন, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য নিয়ে সমস্যা, জ্বালানির দাম—এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন ও ইউরোপের আমলাতন্ত্রের আর্থিক নীতির পদ্ধতিগত ভুলের ফল।

এদিকে ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ কমানো নিয়ে রাশিয়ার জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রমের ঘোষণার পর আজকেও বেড়েছে গ্যাসের দাম। এ নিয়ে পুতিনের ভাষ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের আগে গত বছর থেকেই জ্বালানির দাম বেড়েছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার অভিযান শুরু হয়।

ইউক্রেনে হামলা ও এর জেরে মস্কোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য পণ্য সরবরাহে বাধা এসেছে। এতে বেড়েছে খাদ্যের দাম। রাশিয়া ইউক্রেন থেকে শস্যবাহী জাহাজগুলো চলাচল করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুতিন বলেছেন, কিয়েভই উল্টো তাদের বন্দরগুলোতে মাইন স্থাপন করেছে। ফলে সেখান থেকে শস্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এর পেছনে রাশিয়ার কোনো হাত নেই।