ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে অনাকাঙ্ক্ষিত আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি আরও বলেছেন, পশ্চিমাদের ঐক্যেই শক্তি। হামলার ঘটনা ঘটলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। এর মাধ্যমে ইউরোপের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও মনে করেন তিনি। খবর আল-জাজিরার
জার্মানির মিউনিখে চলা নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়ে আজ শনিবার কমলা হ্যারিস এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর তৎপরতা আরও জোরদার করবে।
নিরাপত্তা সম্মেলেনে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, জোটটি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না, মস্কো এমন দাবি করে ন্যাটোর মুখোমুখি হচ্ছে। স্টলটেনবার্গ আরও বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছে বলে তিনি মনে করছেন।
ইউক্রেন সংকটে চীন রাশিয়াকে ইন্ধন দিচ্ছে এমন কথা বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও বলেন, বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চীন-রাশিয়া একজোট হয়েছে। ন্যাটোর প্রধান বলেন, এই প্রথমবারের মতো আমরা দেখছি ন্যাটো জোটে নতুন দেশ অন্তর্ভুক্ত না করতে ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন-রাশিয়া।
ন্যাটো প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, এটি স্বাধীন দেশগুলোর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে তাদের (চীন-রাশিয়া) একটি প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন নতুন করে লিখে তাঁদের নিজস্ব কর্তৃত্ববাদী শাসনের মডেল চাপিয়ে দিতে চাইছে তারা।
এদিকে পারমাণবিক অস্ত্র চালাতে সক্ষম রুশ বাহিনীর সামরিক মহড়া চলছে আজ। আর এ মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া এই সংবাদ প্রকাশ করেছে। মহড়ায় ব্যালিস্টিক ও ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করার কথা রয়েছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মহড়া শুরু হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন।