অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেব: বরিস

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নেবেন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপে শঙ্কার মধ্যে গতকাল বুধবার তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এএফপির।

নিরাপত্তা-শঙ্কায় ইউরোপের বেশ কিছু দেশ সাময়িকভাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার ব্যবহার স্থগিত করেছে। তবে এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন পার্লামেন্টে নাকচ করছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

বরিস জনসন আইনপ্রণেতাদের বলেন, তিনি অবশেষে টিকা পেতে যাচ্ছেন। শিগগিরই টিকা নেবেন তিনি।

নিজের টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে বরিস জনসন বলেন, ‘এটি অবশ্যই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার হবে। এটাই আমি নেব।’

যুক্তরাজ্যে পরবর্তী ধাপে টিকা দেওয়ার জন্য যাঁদের ডাকা হবে, তাঁদের মধ্যে ৫৬ বছর বয়সী বরিস জনসন রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়। আগামী জুলাই মাস নাগাদ যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সব মানুষকে টিকা দিতে চায় দেশটি।

যুক্তরাজ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তার মধ্যে ১১ মিলিয়ন মানুষ পেয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

সম্প্রতি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে বিভিন্ন দেশ তার ব্যবহার স্থগিতের ঘোষণা দেয়। গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৃহত্তম তিন দেশ জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্স অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এ দলে আরও যোগ দেয় স্পেন, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া। তারও আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, বুলগেরিয়া, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড। ইন্দোনেশিয়াও এই টিকার ব্যবহার বিলম্বিত করছে। এই টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা থেকে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউরোপীয় ওষুধ পর্যবেক্ষক সংস্থা, যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিরাপদ। এই টিকার সঙ্গে ব্যক্তির শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার যোগসূত্র থাকার কোনো প্রমাণ নেই। তাই এই টিকার ব্যবহার বন্ধ না করে তা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টাইমস পত্রিকায় লিখেছেন, ‘এই টিকা নিরাপদ। এই টিকা অত্যন্ত ভালো কাজ করে।’

সংবাদ সম্মেলনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জনাথন ভ্যান-টাম।

যুক্তরাজ্যের নামকরা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি যৌথভাবে এই টিকা উদ্ভাবন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই টিকার প্রয়োগ চলছে।