করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর যুক্তরাজ্যে আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের শুরু থেকে করোনার সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই অবস্থায় দেশটির সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্স সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারে পৌঁছাতে পারে।
বিবিসির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজারের বেশি মানুষ। আর মারা গেছেন প্রায় ৫২ হাজার রোগী। সর্বশেষ তিন দিন, অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪২২ এবং ২০ সেপ্টেম্বর শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৯ জন।
স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বলেন, ওই সময়ের প্রায় এক মাস পর, অর্থাৎ অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে প্রতিদিন ২০০ জনের বেশি করোনায় মারা যেতে পারেন।
লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে ভ্যালেন্স যখন এ কথা বলছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরকারের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ক্রিস হুইটি। ভ্যালেন্স জোর দিয়েই বলেছেন, তিনি যে সংখ্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা শুধু অনুমাননির্ভর নয়। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ধারণা, প্রতি এক সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু দ্বিগুণ হচ্ছে।’
সরকারের এই দুই উপদেষ্টা আরও কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেছেন, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোয় সংক্রমণ বেড়েছে—বিষয়টি এমন নয়। বরং যে পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার মধ্যে সংক্রমণ বেশি শনাক্ত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ৭০ হাজার করোনা রোগী রয়েছেন। প্রতিদিন ছয় হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এই দুই উপদেষ্টা আরও জানান, সার্বিকভাবে যুক্তরাজ্যের ৮ শতাংশের কম মানুষ ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে লন্ডনে এই সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশ। চলতি বছরের শেষে টিকা পাওয়া যেতে পারে। তবে এ সময়ের মধ্যে খুব কম মানুষই টিকা পেতে পারেন। তবে আগামী বছরের প্রথম ভাগে এই টিকার আওতা বাড়বে।