যে বিড়াল দেখে মুগ্ধ সবাই
যদি বলা হয়, মানুষ শখ করে যেসব প্রাণী পোষে তার একটি তালিকা তৈরি করা হোক। তাহলে কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবে? এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মত আসবে। তবে কেউ যদি বিড়ালের কথা বলে? নিশ্চয় সে মতটি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, আদুরে চেহারা ও ভঙ্গির কারণে অনেকেরই বিড়াল পছন্দ। আর যদি হয় ধবধবে সাদা লম্বা লোমশ ও দীর্ঘদেহী কোনো বিড়াল, তাহলে?
এমনই এক ব্যতিক্রম বিড়ালের ছবি সম্প্রতি অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে। নজর কেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। যে বিড়ালটি নিয়ে এত আলোচনা, সেটির নাম কেফির। এটি মেইন কুন প্রজাতির বিড়াল। যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যে এই বিড়াল দেখা যায়। তবে কেফির বসবাস রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের স্টেরি ওসকলে। সেখানকার বাসিন্দা ইউলিনা মিনিনা এই বিড়াল পালন করছেন। ইউলিনা বলছেন, কেফিরের আকার তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে আনেচকার সমান।
ইনস্টাগ্রামে মিনিনার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, ধবধবে সাদা লম্বা লোম ও লেজের কেফির পুরো বাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, মিনিনা ও আনেচকার সঙ্গে খুনসুটি করছে। কখনো পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দরজার হাতল টানছে। আবার কখনো আঙিনায় সবুজ ঘাসে আয়েশ করে রোদ পোহাচ্ছে। আরেক ছবিতে দেখা যায়, কেফির সোফায় আয়েশ করে শুয়ে আছে।
মেইন কুন উত্তর আমেরিকার আদি প্রজাতির বিড়ালগুলোর একটি। লম্বা দেহ এই বিড়ালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মেইন রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রজাতির বিড়াল প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও টিকে থাকতে পারে। এর লম্বা লোম একই সঙ্গে চরম ঠান্ডা ও পানি থেকে প্রাণীটিকে রক্ষা করতে পারে। এর ফলে বরফঠান্ডা পরিবেশেও এটি ঠায় ঘুমিয়ে পড়তে পারে।
মিনিনার পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওর নিচে কেফিরের জন্য ফুটে উঠেছে মানুষের ভালো লাগার চিত্র। একজন লিখেছেন, তিনি এটির প্রেমে পড়ে গেছেন। একজন লেখেন, তিনি প্রার্থনা করেন, সৃষ্টিকর্তা যেন কেফিরকে সুস্থ রাখেন। অনেক মানুষের চেয়ে এটি সুন্দর। কেউ কেউ মজাও করেছেন কেফিরকে নিয়ে। একজন লেখেন, কেফির ইউক্রেনের চার বছর বয়সী একটি মেয়ের চেয়ে বেশি খেয়ে থাকে।