সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়ে মিলল শিরস্ত্রাণ

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা কি আমরা মনে রাখি? তবে কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে, কিছু কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় উঠে যায়। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২৮ জুলাই। চলুন দেখি, বিশ্বে এদিন কী বড় বড় ঘটনা ঘটেছিল। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।

অ্যাংলো-স্যাক্সন আমলের শিরণাস্ত্র

১৯৩৯ সালের ২৮ জুলাই, যুক্তরাজ্যের সাফোক অঞ্চলের সুতন হু এলাকার পুরোনো একটি সমাধিক্ষেত্রে মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় একটি শিরস্ত্রাণ। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানান, প্রাচীন এই শিরস্ত্রাণ অ্যাংলো-স্যাক্সন আমলের। শিরস্ত্রাণটি লোহার তৈরি। এই শিরস্ত্রাণ এমনভাবে বানানো হয়েছে যে, যে সৈন্য এটি পরবেন তাঁর মাথা, ঘাড় আর মুখমণ্ডল সুরক্ষিত থাকবে।

চীনে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প

চীনের তাংশান অঞ্চল ১৯৭৬ সালের এই দিনে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। শহরটির বেশির ভাগ ভবন ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখানকার সড়ক ও সেতু।

১০ হাজার মানুষের মৌন মিছিল

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ফিফথ অ্যাভিনিউতে ১৯১৭ সালের এই দিনে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন। তাঁরা মৌন মিছিল করেন। বর্ণবাদী হামলায় একজন কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই মিছিল হয়। জানা যায়, ওই দিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিউইয়র্কের রাস্তায় একসঙ্গে মৌন মিছিল করেছিলেন।

সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি

আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ ও তাঁর স্ত্রী সোফি খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তোলা ছবি

অস্ট্রিয়ার রাজপরিবারের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ ও তাঁর স্ত্রী সোফিকে সার্বিয়ার রাজধানী সারায়েভোতে হত্যা করা হয়। এই খুনের পেছনে অভিযুক্ত ছিলেন সার্বিয়ার এক ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দ্বার খুলে দেয়। ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি। পরের ইতিহাস রক্তপাতের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিক্ত ও রক্তাক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় ইউরোপ তথা পুরো বিশ্বের মানুষ।