আরও শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ–পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন বেরিল। ক্যাটাগরি–৩ থেকে ক্যাটাগরি–৪–এ রূপান্তরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ‘অতি বিপজ্জনক’ হয়ে উঠেছে এটি। স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভোরে হারিকেনটি এ অঞ্চলের জনবহুল দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানতে পারে।
হারিকেনের প্রভাবে ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বড় বিপর্যয় এড়াতে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, বর্তমানে হারিকেনটি আটলান্টিক মহাসাগরে বার্বাডোজের ২৫০ মাইল (৪০০ কিলোমিটার) দক্ষিণ–পূর্বে অবস্থান করছে। আজ দিনের শুরুতে এটি দক্ষিণ–পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের জনবহুল দ্বীপগুলোতে অতি বিপজ্জনক (ক্যাটাগরি–৪) হারিকেন হিসেবে আঘাত হানতে পারে।
মার্টিনিক, সেন্ট লুসিয়া, গ্রানাডাসহ বেশ কিছু দ্বীপ নিয়ে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। এ দ্বীপপুঞ্জে বেরিলের প্রভাবে প্রচণ্ড বাতাস, উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও সামুদ্রিক ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। শুরুতে এ ঝড়ের কেন্দ্রভাগে পড়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস ও গ্রানাডা দ্বীপ।
এনএইচসি বলছে, হারিকেন মোকাবিলায় দ্রুত সব প্রস্তুতি শেষ করা দরকার। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্থানীয় সরকার ও জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
মার্টিনিক, সেন্ট লুসিয়া, গ্রানাডাসহ বেশ কিছু দ্বীপ নিয়ে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। এ দ্বীপপুঞ্জে বেরিলের প্রভাবে প্রবল বাতাস, উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও সামুদ্রিক ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। শুরুতে এ ঝড়ের কেন্দ্রভাগে পড়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস ও গ্রানাডা দ্বীপ।
বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস, গ্রানাডা ও টোবাগোয় হারিকেনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় বার্বাডোজের রাজধানী ব্রিজটাউনের গ্যাস স্টেশনগুলোতে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সুপারমার্কেট, মুদিদোকানে খাবার, পানি ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য ভিড় দেখা গেছে। কিছু পরিবার ইতিমধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে।
চলতি বছরের আটলান্টিক হারিকেন মৌসুমের প্রথম হারিকেন বেরিল। গত শনিবার ভোরে আটলান্টিক মহাসাগরে এটির সৃষ্টি হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে এটি শক্তি সঞ্চার করে ক্যাটাগরি–৪ মাত্রার হারিকেনে রূপ নিয়েছে।
আটলান্টিক হারিকেন মৌসুম সাধারণত জুনের শুরু থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আটলান্টিক হারিকেন মৌসুমের শুরুতে এ ধরনের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া ব্যতিক্রম।
বাতাসের তীব্রতার ভিত্তিতে হারিকেনকে শ্রেণিবদ্ধ করার রেটিং সিস্টেম সাফির সিম্পসন স্কেল। এ স্কেল অনুযায়ী ক্যাটাগরি-৩ বা এর বেশি ক্যাটাগরির ঘূর্ণঝড়কে সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন হিসেবে ধরা হয়। ক্যাটাগরি-৪ হারিকেনে বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় অন্তত ১৩০ মাইল বা ২০৯ কিলোমিটার।