বিয়ের মাত্র এক মাস বাকি। তুমুল ব্যস্ত বর–কনের পরিবার। তবে শেষ পর্যন্ত আরেকজনকে বিয়ে করলেন কনে। কারণটা কী? ওই হবু বরের দাবি, তাঁর বোনাসের অর্থ দাবি করেছিলেন কনে ও তাঁর পরিবার। তবে তিনি রাজি না হওয়ায় এই পরিণতি।
চীনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশে। আর বর হতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত যিনি হতে পারেননি, তাঁর নাম শিয়াওলি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পুরো ঘটনা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই নারীর সঙ্গে তাঁর চার বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ভিডিওতে দাবি করেছেন শিয়াওলি। তিনি বলেন, ‘তাঁরা (কনে ও তাঁর পরিবার) দাবি করলেন, বছর শেষে আমি যে বোনাস পাই, তা বিয়ের পর তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। এসব কথা শুনে আমি বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।’
ভিডিওতে শিয়াওলি বলেন, তিনি হবু স্ত্রী ও তাঁর বাবা–মাকে খুশি করতে সব রকমভাবে চেষ্টা করেছিলেন। তবে বোনাসের অর্থ দিতে রাজি হননি। কারণ, তাঁর বেতন খুব বেশি না। তাই জীবনযাপনের জন্য তাঁকে বোনাসের অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়।
ওই নারী নাকি শিয়াওলিকে বলেছিলেন, বোনাসের অর্থ না পেলে তিনি মনে করবেন, শিয়াওলি তাঁকে ভালোবাসেন না। এসব কথা শুনে শিওয়ালি সিদ্ধান্ত নেন এই বিয়ে তিনি করবেন না। পরে হবু স্ত্রীর বাবা–মাকে ফোন দেন তিনি। তাঁরাও জানিয়ে দেন, তাঁদের মেয়ে শিয়াওলিকে বিয়ে করবেন না। গাঁটছড়া বাঁধবেন আরেকজনের সঙ্গে।
ভিডিওতে শিয়াওলি বলেন, ওই নারী একসময় বলতেন তাঁকে ভালোবাসেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাবা–মায়ের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারলেন না। এক মাস আগেই বিয়েটা ভেঙে গেল।
এদিকে অন্য একজনকে বিয়ে করার বিষয়ে ওই নারী বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমাকে বিয়ে দেওয়ার আশা করেছিলেন বাবা–মা। আর সে অনুযায়ী তাঁরা সব পরিকল্পনা করেছিলেন। কার সঙ্গে আমার বিয়েটা হবে সেটা কোনো বিষয় না।’
বিয়ে নিয়ে এ ঘটনা ইন্টারনেটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘এটা একটা উপন্যাসের প্লট না?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কাকে আমি সমর্থন দেব। সবাই আমাকে বিভ্রান্ত করেছে।’