সামরিক বাহিনীর মহড়া চলছে। তাতে অংশ নিয়েছে একটি পদাতিক ইউনিট। তবে সেই পদাতিক ইউনিটকে কোনো সেনা কমান্ডার নেতৃত্ব দিচ্ছেন না; বরং সবার সামনে রয়েছে কুকুরের আদলে তৈরি একটি রোবট। পিঠে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে রোবটটি ছুটে চলেছে। তার পেছনে চলেছেন পদাতিক সেনারা।
সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সঙ্গে চীনের সামরিক বাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। মহড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি। সেখানেই দেখা গেল চীনের তৈরি এই রোবট সেনা কমান্ডারকে।
ভিডিওতে চেন ওয়েই নামের চীনের একজন সেনাকে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘নগরাঞ্চলে যুদ্ধের জন্য নিয়োজিত আমাদের সেনা ইউনিটের নতুন সদস্য এই রোবট সেনা। অনুসন্ধানের কাজ, শত্রুপক্ষের অবস্থান শনাক্ত ও প্রতিপক্ষকে নিশানা করে আক্রমণ চালানোর কাজ করবে এটি।’
দুই মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অস্ত্র কাঁধে নিয়ে রোবটটি হেঁটে চলেছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে অবস্থান নিচ্ছে। প্রয়োজন হলে মাটিতে শুয়ে পড়া ও পেছন থেকে ফিরেও চলতে পারে রোবটটি। দূরবর্তী অবস্থান থেকে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। একবার দেখা গেল একটি ভবনে অভিযান চালানোর সময় একটি পদাতিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে এই রোবট সেনা কমান্ডার।
সামরিক বাহিনীতে কুকুরের আদলে তৈরি রোবটের ব্যবহার অবশ্য নতুন নয়। গত বছরের নভেম্বরে যৌথ এক সামরিক মহড়া চালায় চীন, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। সেই মহড়াতেও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী এ ধরনের রোবট দেখা গিয়েছিল।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতেও এ ধরনের রোবট দেখা গিয়েছিল। মার্কিন বাহিনী এ ধরনের রোবট ব্যবহার করে তাদের অ্যাডভান্সড ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (এবিএমএস)। বিশেষ এই ব্যবস্থায় মার্কিন সামরিক স্থাপনার ওপর ঝুঁকি মোকাবিলার কাজটি করা হয়। এ কাজ করা হয় মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ও দ্রুত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এই রোবট তারই অংশ।