চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ এখনো ‘অনিবার্য’ বলে মন্তব্য করেছে বেইজিং। তারা বলেছে, তাইওয়ান চীনের তাইওয়ান।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে জয়ী হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং এ কথা বলেছে।
গতকাল শনিবার তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ডিপিপির প্রার্থী লাই চিং-তেকে প্রত্যাখ্যানের জন্য তাইওয়ানের ভোটারদের চাপ দিয়ে আসছিল চীন। কিন্তু তাইওয়ানের ভোটাররা চীনা চাপ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে ডিপিপিকে তৃতীয় দফায় জয়ী করলেন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থান ডিপিপির।
তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন-সার্বভৌম মনে করে। তবে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে লাই বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রে একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য আমি তাইওয়ানের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
লাই আরও বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলছি, গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের মধ্যে আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াব।’
লাইয়ের জয়ী হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় চীনের তাইওয়ান-বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া এক বিবৃতিতে বলেন, তাইওয়ান চীনের তাইওয়ান।
চেন বিনহুয়ার বিবৃতিটি চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া প্রচার করেছে। বিবৃতিতে চেন বিনহুয়া বলেন, তাইওয়ানের মূলধারার জনমতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না ডিপিপি।
চেন বিনহুয়া বলেন, এই ভোট চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণের অনিবার্য প্রবণতাকে বাধাগ্রস্ত করবে না। এই ভোট মৌলিক ভূচিত্রকে পরিবর্তন করবে না।
চেন বিনহুয়া বলেন, জাতীয় পুনরেকত্রীকরণ বাস্তবে পরিণত করার বিষয়ে বেইজিং তার অবস্থানে অবিচল রয়েছে। এ বিষয়ে বেইজিংয়ের সংকল্প পাথরের মতো দৃঢ়।
চেন বিনহুয়া আরও বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের কঠোর বিরোধিতা করে চীন। পাশাপাশি তারা এ ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপেরও তীব্র বিরোধিতা করে।