রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন সফরে গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি চীনে পৌঁছান। সফরকালে পুতিন তাঁর ‘প্রিয় বন্ধু’ চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সির যুগান্তকারী বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে চীন। আজ থেকে শুরু দুই দিনের এই সম্মেলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমন্ত্রিত অতিথি পুতিন।
এমন একটি সময়ে এই সম্মেলন হচ্ছে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। অন্যদিকে, ইউরোপে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর ছায়া সম্মেলনে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীন আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ১৩০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুবাদে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করবেন পুতিন ও সি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের জেরে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নেয় পশ্চিমারা। তারা রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুতিন এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক শক্তিধর দেশ সফরে গেলেন।
পুতিনকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আজ সকাল সাড়ে ৯টার কিছু আগে চীনে অবতরণ করে। এএফপির এক সাংবাদিক উড়োজাহাজটি অবতরণ করতে দেখেছেন।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, বিআরআই সম্মেলনের ফাঁকে আগামীকাল বুধবার চীনা প্রেসিডেন্ট সির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
দুই নেতার বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। এর বাইরে ক্রেমলিন বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি।
চীনের সঙ্গে রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্য পুতিনের।
রুশ নেতার চীন সফরকালে কিছু বড় চমক আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা পুতিন-সির আসন্ন বৈঠকটিকে মস্কোর প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।