মাছ ধরতে পছন্দ করেন তিনি। বেশির ভাগ সময় মাছ ধরার পেছনে ব্যয় হয় তাঁর। তাই সংসারে দেখা দিয়েছে অশান্তি। পরিবারে সময় না দেওয়ায় স্ত্রী তাঁর সঙ্গে আর সংসার করতে চান না। বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন আদালতে। আইনি প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়, তখনো সেখানে যাননি তিনি। ওই সময়ও ব্যস্ত ছিলেন মাছ ধরায়।
ঘটনাটি চীনের পূর্বাঞ্চলের শানডং প্রদেশের। ওই ব্যক্তির ডাকনাম সান আর তাঁর স্ত্রী ঝাং। ১০ বছরের সংসারজীবন তাঁদের। আদালতে করা আবেদনে ঝাং জানিয়েছেন, ১০ বছরের সংসারজীবনে সান তাঁকে খুব কম সময় দিয়েছেন। এমনকি সন্তানদেরও সময় দেন না তাঁর স্বামী। সানের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান মাছ ধরা। মাছ
ধরার পেছনে নিজের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন তিনি। সংসার, স্ত্রী–সন্তানের প্রতি ভীষণ উদাসীন সান।
এসব অভিযোগ তুলে সানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ঝাং। গতকাল সোমবার যখন আদালতে সান ও ঝাংয়ের বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন সেখানে ঝাং একাই উপস্থিত হন। ছিলেন না সান। জানা যায়, তিনি মাছ ধরা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে শুনানির সময় পর্যন্ত ভুলে গেছেন। পরে আদালতের পক্ষ থেকে বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়ার পর তিনি আদালতে হাজির হন।
ঝাং বলেন, তাঁর স্বামী যখন মাছ ধরতে যেতেন, তখন তিনি সংসার সামলানোর পেছনে ব্যস্ত সময় কাটাতেন। প্রতিদিন সকালে উঠে পরিবারের সবার জন্য নাশতা বানিয়ে, দুই সন্তানকে প্রস্তুত করে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে এরপর কাজে যান তিনি। আর সান বাড়িতে থাকলেও সারাক্ষণ সোফায় শুয়ে শুয়ে নিজের মুঠোফোনে গেম খেলেন। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্ত্রীর অভিযোগের কারণে বেশ বিরক্ত হন সান এবং তিনি বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হন।
বিচারকও সানের এসব আচরণে অবাক হয়েছেন। তাঁর মতে, মাছ ধরা খারাপ কোনো কাজ নয়। তবে এটার সীমা থাকা উচিত।
মধ্যস্থতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত আদালত ঝাংয়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট