চীনের এক শহরেই দিনে ৫ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত

করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন একজন চীনা নাগরিক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

করোনার ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীন। রোগীর চাপে বেহাল হাসপাতালগুলো। মরদেহ সৎকারে বেগ পেতে হচ্ছে কবরস্থানের কর্মীদের। এরই মধ্যে চীনের শ্যানডং প্রদেশের কুইংদাও শহরের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহরটিতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্য অনেক শহরের অবস্থাও প্রায় একই।

ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাম বো তাও। গতকাল শুক্রবার তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করে চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদমাধ্যম। সেখানে তিনি বলেন, কুইংদাও শহরে দিনে ৪ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ সংক্রমণ আরও ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।

তবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আজ শনিবার তাদের হিসাব অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় চীনে মোট ৪ হাজার ১০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে কেউ মারা যাননি। আর শ্যানডং প্রদেশে একই দিনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৩১ জন।

এদিকে, কুইংদাও শহরের ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাতে চীনের অনেক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তবে আজ সকালের আগেই দিনে পাঁচ লাখ আক্রান্তের তথ্যটি প্রতিবেদন থেকে সরিয়ে নেয় তারা। বিষয়টি অবশ্য অবাক করার মতো কোনো ঘটনা নয়। কারণ, চীনের সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর দীর্ঘসময় ধরেই খবরদারি করে আসছে দেশটির সরকার।

চীনে করোনার ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে দেশটির জিয়াংজি প্রদেশের সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের মার্চ নাগাদ প্রদেশটির ৮০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই সপ্তাহে প্রদেশটিতে ১৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী বড়

হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০০ জনের অবস্থা গুরুতর। তবে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।

এদিকে চীনের ডংগুয়ান শহরে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছে শহরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন শহরটিতে প্রায় ৩ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর হাইনান প্রদেশের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগিরই প্রদেশটিতে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। অপর দিকে সাংহাই শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে জ্বরের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।