শত বছর বয়সেও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তৎপর সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। তারই একটি ঝলক দেখা যাচ্ছে তাঁর চলমান চীন সফরে। সফরের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে। আর সি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘পুরোনো বন্ধু’ বলে।
হেনরি কিসিঞ্জারের চলতি সপ্তাহের চীন সফরকে দেখা হচ্ছে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে চলমান কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে। মানবাধিকার, বাণিজ্য, জাতীয় নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার বিরোধ মেটাতে তিনি কাজ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে হেনরি কিসিঞ্জারের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০ সালে সমাজতান্ত্রিক চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চুক্তি সম্পাদনের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে কিসিঞ্জারের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করেন সি। তিনি কিসিঞ্জারকে বলেন, ‘চীনের জনগণ বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দেয়। আমরা কখনো আমাদের পুরোনো বন্ধু (কিসিঞ্জার) এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়ন ও দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব উন্নয়নে তাঁর ঐতিহাসিক অবদানকে ভুলব না।’
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চুক্তির (১৯৭০) বিষয়ে সি বলেন, ওই সম্পর্ক শুধু দুই দেশকেই উপকৃত করেনি; বরং পুরো বিশ্বকে পরিবর্তন করেছে।
সি বলেন, বর্তমান বিশ্ব এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা গত এক শতাব্দীতে দেখা যায়নি। পুরো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাই ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আবারও একটি বিশেষ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। তাদের আবারও একই সিদ্ধান্ত বেছে নিতে হবে।
অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সিকে ধন্যবাদ জানান কিসিঞ্জার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হবে বিশ্ব শান্তির নিয়ামক। এই সম্পর্ক আমাদের সমাজকে এগিয়ে নেবে।’