চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ের আশা মার্কিন অর্থমন্ত্রীর

চারদিনের চীন সফরের শেষদিন আজ রোববার বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তাঁর বেইজিং সফর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বৈরী সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করেছে। চার দিনের সফরের শেষ দিন আজ রোববার তিনি বলেন, এ সফরে চীনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি ও অর্থবহ আলোচনা হয়েছে তাঁর।

সম্পর্কে উন্নতির কথা বললেও রোববার চীন ছাড়ার আগে ইয়েলেন এ-ও বলেন, এখনো অনেকগুলো বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের। একই সঙ্গে ইয়েলেন আত্মবিশ্বাসী, তাঁর সফর যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখান থেকে হোঁচট খাওয়ার শঙ্কা নেই।

বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়েলেন বলেন, চীনের অসাধু বাণিজ্য চর্চা ও সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চীনের নেওয়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, উল্লেখ করার মতো অনেক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ আছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের।

বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে চীন সফর করা জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘(মার্কিন) প্রেসিডেন্ট (জো) বাইডেন এবং আমি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে পরাশক্তি দেশের বিরোধের অবস্থান থেকে দেখি না। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের উভয় দেশের (সম্পর্কের) উন্নতির জন্য বিশ্ব যথেষ্ট বড়।’

মার্কিন অর্থমন্ত্রীর সফর থেকে নতুন কোনো যৌথ ঘোষণা আসেনি। তবে ইয়েলেন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে এবং আমরা একটি সুস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। এটা হলে এতে দুই দেশ যেমন লাভবান হবে, তেমনি লাভবান হবে পুরো বিশ্ব।’

জাতীয় নিরাপত্তা, তাইওয়ান, উন্নত প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, মার্কিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চীনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপসহ নানা কারণে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এসব বিরোধ নিষ্পত্তি করে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।

বাইডেন প্রশাসন যে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিরোধ মেটাতে সচেষ্ট, তার সর্বশেষ উদাহরণ ইয়েলেনের বেইজিং সফর। এর আগে গত মাসে চীন সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চলতি মাসেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি চীন সফর করবেন।

আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি–২০ সম্মেলন অথবা নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) সম্মেলনে বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠক হতে পারে। এ লক্ষ্যে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।