চীন বলেছে, তারা বিশ্বাস করে, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামাল দিতে সক্ষম। মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও তারা সক্ষম।
সিরিয়ার দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জেরে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ইরানের বদলার প্রেক্ষাপটে এসব কথা বলেছে চীন।
১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন নিহত হন।
বদলা হিসেবে ইরান গত শনিবার রাতভর ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয় বলে দাবি তেল আবিবের।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনালাপে ইরানের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াংকে ব্রিফ করেন আবদুল্লাহিয়ান।
আজ মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, ওয়াং বলেছেন, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে ইরানের জোরালো অবস্থানের প্রশংসা করে চীন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপকে সীমিত বলে ওয়াংয়ের কাছে তুলে ধরেছে ইরান। একই সঙ্গে বলেছে, এটি তারা আত্মরক্ষার জন্য করেছে।
ওয়াং বলেছেন, ইরানের দূতাবাসে (কনস্যুলেট) হামলার তীব্র নিন্দা জানায় চীন। তারা দৃঢ়ভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে। তারা এ ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মনে করে।
ওয়াংকে আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান আঞ্চলিক উত্তেজনা সম্পর্কে অবগত। তেহরান সংযম চর্চায় আগ্রহী। আরও উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছাই ইরানের নেই।