তাইওয়ানে যেকোনো ধরনের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ তৎপরতার বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার নীতি অনুসরণের অঙ্গীকার করেছে চীন। বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
আজ বুধবার চীন এই অঙ্গীকার করে। একই সঙ্গে দেশটি হুমকি দিয়ে বলেছে, প্রয়োজনে তারা জোর করে স্বশাসিত দ্বীপটি দখল করে নেবে।
চীনের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও গত সপ্তাহে তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাঁর এই সফরের প্রতিক্রিয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ান ঘিরে অভূতপূর্ব সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।
চীনের সামরিক মহড়া গত রোববার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহেও মহড়া অব্যাহত আছে। মহড়া কবে শেষ হবে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি চীন।
চীনের তাইওয়ানবিষয়ক কার্যালয় আজ একটি শ্বেতপত্র ইস্যু করেছে। তারা কীভাবে দ্বীপটি দাবি করতে চায়, তার রূপরেখা এই শ্বেতপত্রে রয়েছে।
শ্বেতপত্রে বলা হয়, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য ব্যাপক পরিসর তৈরি করতে প্রস্তুত। তবে আমরা কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার সুযোগ দেব না।’
তাইওয়ান ইস্যুতে চীন সর্বশেষ ২০০০ সালে শ্বেতপত্র ইস্যু করেছিল। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে কর্তৃত্ববাদ থেকে বেরিয়ে প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিজেকে রূপান্তরিত করে তাইওয়ান। আবির্ভূত হয় একটি স্বতন্ত্র তাইওয়ানিজ পরিচয়ের।
চীনবিরোধী সাই ইং-ওয়েন ২০১৬ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হন। তারপরই চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কে বড় ধরনের অবনতি ঘটে।
সাই ইং-ওয়েন ও তাঁর দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে না।
চীনা শ্বেতপত্রে তাইওয়ানের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি পুনঃ একত্রীকরণের পর বৃহত্তর নিরাপত্তা ও মর্যাদার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি আজ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া চলতে দেখা গেছে।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ গতকাল অভিযোগ করে বলেন, তাঁর দেশে আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতির জন্য সামরিক মহড়াকে ব্যবহার করছে চীন।