ভূমিকম্পের পর জিশিশান কাউন্টির বাসিন্দারা বাইরে জড়ো হয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। গানসু প্রদেশ, চীন, ১৯ ডিসেম্বর
ভূমিকম্পের পর জিশিশান কাউন্টির বাসিন্দারা বাইরে জড়ো হয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। গানসু প্রদেশ, চীন, ১৯ ডিসেম্বর

চীনে মাইনাস ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উদ্ধার তৎপরতা

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮। আহত কয়েক শ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হিমশীতল আবহাওয়ার মধ্যেই চলছে উদ্ধার তৎপরতা। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে।

স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের জিশিশান কাউন্টিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে

জিশিশানে এখন মঙ্গলবার সকাল। সেখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই হিমশীতল পরিস্থিতির মধ্যেই হাজারো উদ্ধারকর্মী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ করছেন।

উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত আছেন ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। তাঁরা ভূমিকম্পে আহত, নিহত ও বেঁচে থাকা লোকদের সন্ধান করছেন।

প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর ইতিমধ্যে একাধিক পরাঘাত (আফটার শক) হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলছে, আরও পরাঘাত হতে পারে।

চীনের উত্তরাঞ্চলজুড়ে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। তীব্র ঠান্ডায় কাঁপছে দেশটির অনেক অংশ।

প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের শানশি, হেবেই ও লিয়াওনিং প্রদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।

হিমশীতল তাপমাত্রা উপেক্ষা করেই কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে হিমশীতল তাপমাত্রার কারণে উদ্ধারকারীরা পূর্ণমাত্রায় কাজ করতে পারছেন না।

উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, জিশিশান কাউন্টিতে কিছু লোককে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের হাতে সময় সীমিত। এদিকে কাউন্টিতে তীব্র ঠান্ডা তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। অধিকাংশ সড়ক এখন বরফে ঢাকা।