চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল শুক্রবার ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করেছেন সি চিন পিং। নতুন মেয়াদে তাঁর সামনে চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে বার্তা সংস্থা এএফপি। যদিও এসব বিষয়ে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সির আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে চীনের মন্থর অর্থনীতিই সম্ভবত প্রাধান্য পাবে। অবশ্য কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে নিজের অনুগতদের জড়ো করার সিদ্ধান্তের ফলে প্রবৃদ্ধির চেয়ে তিনি নিজের মতাদর্শকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কি না, সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে গত বছর প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। চলতি বছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার যা কয়েক দশকের কম লক্ষ্যমাত্রাগুলোর একটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। উভয় পক্ষ বাণিজ্য, মানবাধিকার ও কোভিডের উৎপত্তিসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনের বেলুন ভূপাতিত করা নিয়ে গত মাসে পূর্বঘোষিত বেইজিং সফর স্থগিত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তাইওয়ানের সঙ্গে সম্প্রতি চীনের উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে। এখন একজন ‘সাহসী’ সি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপটি দখলে বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের সঠিক সময় কোনটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের প্রতি চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শন প্রকট হয়ে উঠেছে।
সির অধীনে চীন থেকে নাগরিক সমাজ প্রায় মুছে গেছে বলা চলে। অনেক অ্যাকটিভিস্ট দেশ ছেড়েছেন। কোথাও সরকারের বিরোধিতা বলতে কিছু নেই। পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখ উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুরা বন্দিশিবিরে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পশ্চিমা দেশের আইনপ্রণেতারা এ নিপীড়নকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।