তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির কাছে একটি সাবমেরিন–বিধ্বংসী চীনা হেলিকপ্টার এবং তিনটি যুদ্ধ জাহাজ শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং–ওয়েনের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির বৈঠকের পর আজ বৃহস্পতিবার এমন দাবি করা হলো।
তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজ সকাল ছয়টার সময় তাইওয়ানের কাছে একটি পিএলএ উড়োজাহাজ এবং তিনটি পিএলএএন জাহাজ শনাক্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং এসব তৎপরতার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিএপি বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা প্রস্তুত রেখেছে।
তাইওয়ানের মাত্র ১৩টি কূটনৈতিক মিত্রদেশ আছে। এর মধ্যে গুয়াতেমালা, বেলিজও আছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং–ওয়েন এ দেশ দুটিতে সফর করেন। ফেরার সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতি নেন। বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ বৈঠকের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর হুমকি দিয়েছিল চীন।
তাইওয়ানের চীনসংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণকারী কর্তৃপক্ষ বুধবার অভিযোগ করেছে, তাইওয়ান প্রণালি হয়ে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে বেইজিং বাধা দিচ্ছে। পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী জাহাজগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এর আগে চীনের নৌ কর্তৃপক্ষ বলেছিল, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নকারী পানিসীমায় টহল জোরদার করছে তারা। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
তাইওয়ানের চীনসংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণকারী কর্তৃপক্ষ বলেছে, চীনের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে প্রণালি দিয়ে জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে চুক্তি আছে, তার সুস্পষ্টত লঙ্ঘন হয়েছে।