চীনা শহরে আগুনে প্রাণহানির পর লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ

করোনার লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতে রাতভর বিক্ষোভ। চীনের জিনজিয়াংয়ের উরুমকি শহরে
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চীনে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এ জন্য দেশটির কোথাও কোথাও লকডাউন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনার লকডাউনের মাঝে দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের উরুমকি শহরে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরপর সেখানকার বাসিন্দারা পথে নেমে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। খবর বিবিসির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের ‘করোনার লকডাউন তুলে নাও’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় অনেকের মুখে মাস্ক পরা ছিল। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতভর সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে। পরে শহর কর্তৃপক্ষ লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফেরেন।

বিবিসির হাতে আসা ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা উরুমকির পথে পথে ও নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। আজ শনিবার সকাল থেকে অনলাইনে এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

গত আগস্টের শুরু থেকে শহরটিতে করোনার বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি তা আরও জোরদার করা হয়। সেখানকার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পরও ওই ভবনের বাসিন্দাদের সেখান থেকে বের হতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ করেছে।  

চীনের সংবাদমাধ্যমের খবর, এ ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার উরুমকি শহর কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, অগ্নিকাণ্ডে ওই আবাসিক ভবনে ১০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের পরে সেখানকার বাসিন্দারা দাবি করেন, করোনার লকডাউনের কারণে অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তা না হলে আরও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘শূন্য করোনা নীতি’ নিয়েছিল চীন সরকার। এরপরও দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত বুধবার চীনে এক দিনে ৩১ হাজার ৪৪৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই হিসাবে দেশের বাইরে থেকে আসা রোগীদের ধরা হয়নি। প্রায় তিন বছর আগে দেশটিতে মহামারি শুরু হওয়ার পর এটাই এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড।